বর্ষা আসতেই আবার বাড়ছে সোয়াইন ফ্লুয়ে সংক্রমণের পরিমাণ। বছরের কোনও কোনও সময়ে এই বিশেষ সংক্রমণটি ফিরে আসে। সোয়াইন ফ্লুকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় H1N1। এই ভাইরাসের সংক্রমণ সাধারণত ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে Noida International Institute of Medical Sciences-এর সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক সুমোল রত্ন জানিয়েছেন, ‘সাধারণত influenza type A নামক ভাইরাসঘটিত সংক্রমণকেই সোয়াইন ফ্লি বলা হয়।’ ২০০৯-১০ সালে এই ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সেই সময়ে মাহামারির আকার ধারণ করে এই সংক্রমণ। (আরও পড়ুন: জ্বালাযন্ত্রণা দূরে রাখতে রোজ এই ৫টি জিনিস খান, হাতেনাতে ফল পাবেন, বলছে আয়ুর্বেদ)
সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের কারণ কী?
চিকিৎসকরা বলছেন, influenza virus-এর H1N1 variant-এর কারণে এই সংক্রমণ ছড়ায়। এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। মুখ থেকে নিঃসৃত বাষ্প থেকেও ছড়াতে পারে এটি। এছাড়া সংক্রমিত কারও থেকে কোনও বস্তুর উপর এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সেখান থেকেই অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। ২ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই ভাইরাস শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এবং ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। (আরও পড়ুন: বর্ষাকালে দই খাওয়া কি ঠিক? আয়ুর্বেদ কী বলছে শুনলে চমকে যাবেন)
সোয়াইন ফ্লুয়ের উপসর্গ:
সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই উপসর্গ দেখা যায় এতে। এর মধ্যে রয়েছে—
- ঠান্ডালাগা
- জ্বর
- কাশি
- ক্লান্তি
- গলায় ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- খিদে কমে যাওয়া
- বমি
- ডায়ারিয়া
পরিস্থিতি জটিল হলে কারও কারও ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এর ফলে। সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই এই উপসর্গগুলি কমতে শুরু করে।
সোয়াইন ফ্লুয়ের চিকিৎসা:
এই সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য সাধারণত চিকিৎসকরা Oseltamivir-এর মতো ওষুধ দেন। এছাড়াও Zamanivir-এ মতো নাকের স্প্রে ব্যবহার করা হয়। ফুসফুসের সংক্রমণ মারাত্মক জায়গায় গেলে কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধও দেওয়া হয়।