Science News: এবার আমেরিকা সব দেখতে পাবে! রাশিয়া-চিন থেকে শুরু করে সব দেশের উপর উঁকির ব্যবস্থা

USA Spying on China and Russia: রাশিয়া ও চিনকে টেক্কা দিতে নতুন ফন্দি আঁটল আমেরিকা। বিশেষ স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক তৈরি হতে চলেছে সেই দেশে। আমেরিকার উপর অন্য দেশের গুপ্তচরবৃত্তি আটকাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

চাকরি পেতে হলে খেতে হবে নিরামিষ, কড়া শর্ত দিল সংস্থা (REUTERS)

রাশিয়া ও চিনকে টেক্কা দিতে নয়া ব্যবস্থা নিল আমেরিকা। আকাশ মারফত আমেরিকার উপর নজরদারির চেষ্টা করছে এই দুই দেশ। নানা সময় এমন অভিযোগ উঠেছে হোয়াইট হাউসের তরফে। কয়েক মাস আগে চিনের একটি গুপ্তচর বেলুন নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় হয়। আমেরিকার আকাশে উড়তে থাকা ওই বেলুন নিয়ে জল্পনা জোরদার হয়। পরে চিনও স্বীকার করে, তাদের বেলুনই নাকি ‘ভুল করে’ ঢুকে যায় আমেরিকায়। তার পরs সেই বেলুনকে গুলি করে নামানো হয়। আমেরিকার সরকার কি তখন থেকেই আঁটঘাট বাঁধছিল? এই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট না জানা গেলেও বাইডেনের সাম্প্রতিক পরিকল্পনা থেকে আগামী পদক্ষেপ একেবারেই স্পষ্ট। 

আমেরিকার স্পেস ফোর্সের তরফে এবার তেমনই একটি স্যাটেলাইট কনস্টিলেশন (স্যাটেলাইটের একটি বিশেষ ধরনের নেটওয়ার্ক) পাঠানো হবে পৃথিবীর উচ্চতর কক্ষপথে‌। তার কাজ নিম্নতর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলি পর্যবেক্ষণ করা। দেশের সীমানার মধ্যে চিন বা রাশিয়ার বা অন্য কোনও স্যাটেলাইট ও উড়ন্ত বস্তু ঢুকে পড়ছে কি না, সেদিকে নজর রাখাও ওই নেটওয়ার্কের কাজ। সাইলেন্ট বার্কার নামে ওই নেটওয়ার্ক নিম্ন কক্ষপথের স্যাটেলাইটগুলিকে এই সংক্রান্ত সিগন্যাল পাঠাবে। প্রসঙ্গত বলা হচ্ছে, বিশ্বের অন্যতম বড় শক্তিগুলির ভিতরকার দ্বন্দ্ব পৃথিবীর মাটি ছাড়িয়ে মহাকাশেও পৌঁছে গেল এবার। স্পেসফোর্স ও বিশ্লেষকদের মতে, ওই নেটওয়ার্ক পৃথিবীর ভূতল থেকে ২২ হাজার মাইল (৩৪ হাজার কিলোমিটার) উপরে স্থাপন করা হবে। যা পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে ঘুরবে। ন্যাশনাল রিকনসানস অফিসকেই এই ধরনের নেটওয়ার্ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, এই নেটওয়ার্ক সময়মতো বিপজ্জনক বস্তু শনাক্ত করে নিম্নতর কক্ষপথের স্যাটেলাইটগুলিকে তা ট্র্যাক করার ক্ষমতা দেবে।

কীভাবে কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ওই নেটওয়ার্ক? বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোয়িং কোম্পানি-লকহিড মার্টিন কর্পোরেশনের ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স পরিচালিত একটি অ্যাটলাস ফাইভ বুস্টারে করে জুলাইয়ের পর সাইলেন্ট বার্কার উপগ্রহ নক্ষত্রটি উৎক্ষেপণ করা হবে। লঞ্চের তারিখটি ফেসবুক এবং টুইটারে ৩০ দিন আগে ঘোষণা করা হবে। নতুন নেটওয়ার্কের ক্ষমতা অন্যান্য স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের থেকে অনেকটাই বেশি হবে বলে জানানো হয় এই বিবৃতিতে।  উচ্চ ক্ষমতার সাহায্যেই চলবে দেশের উপর কড়া পাহারা।