সেবোরিক কেরটোসিস রোগটি হলে ত্বকে টিউমারের মতো জিনিস দেখা দেয় পূর্ণবয়স্ক রোগীদের মধ্যে। কিন্তু এগুলোকে ফেলে রাখা মোটেই উচিত নয়। যথাযথ চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। এবং একই সঙ্গে এই টিউমারগুলোকে ম্যালিগন্যান্ট কিংবা সাধারণ টিউমারের থেকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা উচিত। সেবোরিক কেরটোসিস সবার জীবনেই একবার না একবার হয়েই থাকে, এটা অনেকটা আঁচিলের মতো দেখতে লাগে।
এটা মূলত মাঝবয়সীদের মধ্যে দেখা যায়। এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটাও বাড়তে থাকে। তবে এটা যে বিশেষ ক্ষতিকর এমনটা নয়। কিন্তু এটা যদি আপনার অস্বস্তি বা সমস্যার কারণ হয়ে থাকে তবে অবশ্যই এটাকে সরিয়ে ফেলা উচিত আঁচিল হচ্ছে মূলত কিছু অতিরিক্ত কোষ জমে একটা টিউমারের আকার ধারণ করে, এবং এটাকে মোটেই স্কিন ক্যানসারের একটি লক্ষণ বলে মনে করা হয় না।
সেবোরিক কেরটোসিস কেন হয়?
এটা মূলত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে দেখা যায়। এবং যত বয়স বাড়ে এটা তত খারাপ আকার ধারণ করতে থাকে। তবে কেন এই রোগটি হয় সেটার নির্দিষ্ট কোনও কারণ আজও পাওয়া যায়নি, তবে মনে করা হয় অতিরিক্ত সময় তীক্ষ্ণ আলোর মধ্যে থাকার কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এছাড়া জিনগত কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে। তবে এটা ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাল কোনওটাই নয়। এমনকি এটা ছোঁয়াচে রোগও নয়।
তবে এই সেবোরিক কেরটোসিসের সঙ্গে অ্যাক্টিনিক কেরটোসিসের বেশ মিল রয়েছে যার আঁচিল বা টিউমারগুলো ম্যালিগন্যান্ট হয়ে থাকে। এবং যেখান থেকে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে থাকে। গর্ভাবস্থায় যখন হরমোনাল চেঞ্জ দেখা যায় তখনও সেবোরিক কেরটোসিস রোগটি হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণ কী?
এটা হলে পাতলা বা উঁচু আঁচিল মতো হয়ে থাকে শরীরে। হলুদ, গ্রে, হালকা বাদামি, বা কালো রঙের দেখতে হয়ে থাকে এই টিউমারগুলোকে। এগুলোকে চুলকালে লাল হয়ে যেতে পারে।
এই রোগের চিকিৎসা কী?
এই রোগ হলে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। যখন এটাকে স্কিন ক্যানসারের মতো দেখতে লাগে, বা জামা কাপড় পরতে অথবা গয়না পরতে অসুবিধা ঘটায় তখন এটাকে সরিয়ে ফেলা হয়। একাধিক উপায়ে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব, জেমকন ক্রায়োথেরাপি লিকুইড নাইট্রোজেনের সাহায্যে এটাকে ধ্বংস করা যায়। এবং এই পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করার কিছুদিনের মধ্যেই এই টিউমারগুলো খসে পড়ে যায়। বা অ্যাবলেটিভ লেজার সার্জারি করেও এটাকে সারানো সম্ভব।