সিকিমে একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থা। বিশেষত এই বিপর্যয়ে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিম। পর্যটন সমৃদ্ধ একাধিক স্থানে এখন খালি ধ্বংসলীলার ছাপ। এদিকে এই সময় থেকেই শুরু হয় সিকিমে পর্যটন মরশুম। সেক্ষেত্রে মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বিপর্যয়ের পরপরই যাঁদের মূলত উত্তর সিকিম যাওয়ার কথা ছিল তাঁরা বুকিং বাতিল করতে শুরু করেন। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন ওঠে পুজোর সময় কি সিকিম যাওয়া সম্ভব?
তবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশের অনুরোধ এখনই পুজোর বুকিং বাতিল করে দেবেন না। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য় সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকী যে পর্যটকরা সিকিমে আটকে পড়েছিলেন তাঁদের পাশে থেকেছে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে সুন্দরী সিকিমের দিক থেকে যাতে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে না নেন সেকারণে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে সিকিম প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
তবে আশার কথা আপাতত সিকিমের পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু উত্তর সিকিমে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও নানা সমস্যা রয়েছে। তার মূল কারণ হল এই বিপর্যস্ত অবস্থা। তবে বেড়াতে গিয়ে সবসময় দুর্গত সহনাগরিকদের পাশে থাকুন এটাই অনুরোধ।
তবে যেভাবে সিকিমের বুকিং বাতিল হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কারণ পরিবার নিয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। কখন কী হয়ে যায় আগাম বোঝা অত্যন্ত কঠিন। অনেকে বুকিং পিছিয়ে দিতে চাইছেন।
আবার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এবার সিকিম প্যাকেজ ট্য়ুরের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিম সংলগ্ন এলাকায় যাওয়া কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
অনেকে আবার পুজোর বুকিং পিছিয়ে দিয়ে ডিসেম্বরে করতে চাইছেন। তখন বৃষ্টির দাপট কমতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। এদিকে অনেকে আবার শেষ সময় সিকিম ট্যুর বাতিল করে দার্জিলিংয়ে যেতে চাইছেন। তবে সিকিম বা দার্জিলিং যেখানেই যান না কেন ভুলেও তিস্তায় নামবেন না। সতর্কবার্তা জানিয়েছে দার্জিলিং পুলিশ। সেই সঙ্গেই ঝুঁকির রাস্তায় না যাওয়ার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। মূলত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই বিকল্প রুট ব্যবহার করতে পারেন।
সিকিম যাওয়ার জন্য বিকল্প রুট ঘোষণা করেছে দার্জিলিং পুলিশ। সেই রুটটি হল শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, সিংলা( রাম্মান ব্রিজ), জোড়থাং, নামচি হয়ে গ্যাংটক। তবে গ্যাংটকে গিয়ে বেড়ানো কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় হোটেল, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ট্যুর প্ল্যান ঠিক করুন।