প্রস্রাবের নুন এবং খনিজ পদার্থ জমে জমে কিডনিতে যে শক্ত পদার্থ তৈরি হয়। তাকেই বলা হয় কিডনির পাথর। আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় ভুগছে, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেক সময় কিডনিতে যে পাথর হয়েছে তা বোঝায় যায় না। এর প্রাথমিক লক্ষণ হল কোমরের যন্ত্রণা। এই গরমে কিডনি ভালো রাখার একমাত্র উপায় প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। তবে কিডনির সমস্যা থেকে একেবারে রেহাই পাওয়ার উপায় কী? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
একটি কিডনি খারাপ হলে আরেকটি দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু, বেশিদিন এমন চললে তো বিপদ। সময় থাকতে থাকতে সচেতন হওয়া জরুরি। কিডনিতে পাথর, মানেই খুব যন্ত্রণাদায়ক, এর ফলে কখনও কখনও প্রস্রাব দিয়ে রক্তও বের হয়। শুরু হয় পেটে, কোমরে যন্ত্রণা। সোনোগ্রাফি, এক্সরের মাধ্যমে বোঝা যায় কিডনিতে পাথর আছে কিনা। পাথর ছোট হলে ওষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি হাতের নাগালের বাইরে গেলেই বিপদ। তখন অপারেশন ছাড়া গতি নেই। তবে আয়ুর্বেদিক উপায়ে, অপারেশন না করিয়েও এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কী সেই আয়ুর্বেদিক টোটকা জানুন।
আদা- আদা কেবল রান্নার উপকরণ নয়। এটি চিকিৎসার কাজেও লাগে এমন একটি উপাদান। আদা খেলে কিডনির দূষিত পদার্থ নষ্ট হয়। শুধু কিডনি কেন, লিভার ভালো রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
হলুদ- কিডনির সমস্যা এড়াতে হলুদ খাওয়া উচিত। কিডনির সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কাচা হলুদ একাই একশো। রোজ সকালে খালি পেটে কয়েক টুকরো হলুদ খান। ভালো ফল পাবেন।
ধনে- কিডনির সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রোজের পাতে গোটা ধনে রাখুন। এই মশলা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে আপনি ধনে ভেজানো জল পান করতে পারেন।
ত্রিফলা- নিয়মিত ত্রিফলার জল পান করলে শুধু কিডিনির সমস্যা এড়ানো যায় না। এমনকী কিডনির পাথরও প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। রাতে এক গ্লাস ত্রিফলা চূর্ণ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই জল পান করুন।
কিডনির সমস্যা কখনওই অবহেলা করা উচিত নয়। অবহেলার কারণে আপনার জীবন হানি হতে পারে।