আজকাল অনেক চিকিৎসকই লো কার্ব ডায়েট ফলো করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বেশ কিছু রোগের হাত থেকে বাঁচতে, ওজন কমাতে এই ডায়েট ফলো করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, ওজন স্বাভাবিক রাখতে ও BMI ঠিক রাখতেও বেশ কাজে আসে এটি।
কারা মেনে চলবেন লো কার্ব ডায়েট?
ওজন কমাতে এখন অনেকেই লো কার্ব ডায়েটের দিকে ঝুঁকছেন। পাশাপাশি যাঁদের টাইপ ২ ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, PCOD বা সিস্টের মতো সমস্যা রয়েছে যেসব নারীদের, তাঁদেরও এই ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। ওজন কমানোর পাশাপাশি ওজন ধরে রাখার জন্যও ফলো করতে পারেন লো কার্ব ডায়েট। এছাড়া, এটি বহদজম, পেটের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা ও চুল পড়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।
লো-কার্ব ডায়েট কী?
এই ডায়েটে জোর দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ওপর। অর্থাৎ, বেশি করে খেতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার ও শাক-সবজি। ফ্যাটের পরিমানও হবে সীমিত। আর কার্বোহাইড্রেট থাকবে নামমাত্র। দিনে ৫০ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেট না খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিদিন ১৫০০-১৭০০ ক্যালোরির কাছাকাছি ইনটেক করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে প্রোটিন রাখা যাবে ৫০০-৬০০ ক্যালোরি। এবং কার্বোহাইড্রেট ২০০ ক্যালোরি। বাদবাকি থাকবে প্রোটিন।
কী কী খাওয়া যাবে?
চিকেন ও ছোট মাছ খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। মটন বা চিংড়ি বা অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে যেই মাছে সেগুলো এরিয়ে চলুন। চিংড়ি মাছও খান নিয়ম মেনে। রোজ ১টা থেকে ২টো ডিম আবশ্যই খাবেন।
ভাত-রুটি একেবারে বাদ না দিলেও চলবে। কিন্তু খুব সামান্য পরিমানে খেতে পারেন। এই ডায়েটে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের ওপর জোর দেওয়া হয়, যাতে ফাইবার কনটেন্ট বেশি। যেমন ব্রাউন ব্রেড, ওটস, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি। সন্ধে সাতটার পর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না।
বাদাম, কুমড়ো, ফ্লাক্সসিড, সানফ্লাওয়ার সিড খান রোজ। কিন্তু সেটাও মাপমতো। ৫-৬টা আমন্ড, ১ চামচ যে কোনও ধরনের সিড খেতে পারেন। আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্টের সময় খান। অনেকেরই চা ছাড়া চলে না। তবে এক্ষেত্রে চায়ে মিষ্টি দেওয়া চলবে না। এরিয়ে চলুন আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করাও। সবথেকে ভালো হয় গ্রিন টি খেতে পারলে।
সবজি খান বেশি করে। পালংশাক, ব্রকোলি, ফুলকপি, গাজর, বিনস, পেপে খান। বিভিন্ন ধরনের ডাল খান। রোজ ১টা কিংবা ২টো ফল অবশ্যই খাবেন। তবে, ফলের রস খাওয়া চলবে না। কার্ব-সমৃদ্ধ সবজি যেমন, আলু, মিষ্টি আলু, বিট, কর্ন মাঝেমধ্যে রাখুন ডায়েটে।
ডেয়ারি প্রোডাক্ট যেমন চিজ, দই, ছানাতেও খুব ভাল প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে দই হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং চিজের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড় ভালো রাখে।