বাঙালি বাড়িতে দুপুরের খাবারের শুরুতেই তেতো খাওয়ার নিয়ম। শীতকালে নিমপাতা ভাজা, বছরের অন্য সময়ে উচ্ছে ভাজা তো অনেকেই খান। এখন এই সব বাঙালি পদ তুলনায় কম পাওয়া যায়। তবু অনেক বাড়িতে খুঁজলেই এগুলির চল এখনও দেখতে পাওয়া যায়।
কিন্তু কেন পাতের গোড়াতেই এই সব তেতো পদ খাওয়ার নিয়ম বহু যুগ ধরে চলে আসছে?
এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। দেখা গিয়েছে, তেতো পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে, তেতোর পর যদি অন্য খাবারগুলি খাওয়া হয়, তাহলে হজমের সুবিধা হয়। এই কারণেই মশলাদার খাবারের আগে তেতো খাবার খাওয়ার নিয়ম চলে আসছে বাঙালি বাড়িতে।
তবে শুধু হজমের সুবিধাই নয়, দেখা গিয়েছে, এই জাতীয় তেতো পদ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। তাই যাঁদের ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা রয়ছে, তাঁরা যদি প্রথম পাতে তেতো কিছু খেয়ে নেন, তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই কারণেই খাবারের শুরুতে তেতো কিছু খেতে বলা হয়। কিন্তু তেতো পদ বাদ দিয়ে অন্য ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খেলে এই সুবিধা পাওয়া যায় না। বিশেষ করে বিভিন্ন জাতীয় ফ্রাই বা অন্য ভাজাভুজি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, খাবার হজমেও সমস্যা হয়।