২০০৬ সালে থেকেই প্রথম বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালন করা শুরু হয়। প্রতি বছর ২১ মার্চ এই দিনটি পালন করার পিছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ। ডাউন সিনড্রোম রোগটিতে লুকিয়ে সেই কারণ। বিজ্ঞানীদের কথায়, ডিএনএ-এর ২১ নম্বর ক্রোমোজোমটি তিনবার পরপর থাকলেই ডাউন সিনড্রোম রোগটি হয়। তাই ২১ মার্চই পালন করা হয় এই বিশেষ দিন।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ২০১২ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে এই দিনটি পালন করা শুরু করে। এই দিন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাশাপাশি আমন্ত্রণ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলিকে।
আরও পড়ুন: ঘোর বিপদে কলকাতা! মাটি বসে যাচ্ছে, ডোবার সময় আসন্ন, কেন বলছেন বিজ্ঞানীরা
আরও পড়ুন: দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন? শুধু নিয়ম মেনে জল খেয়েই কমাতে পারেন এই সমস্যা
প্রতি বছর ২১ মার্চ ডাউন সিনড্রোমকে ঘিরে এই দিনটি পালনের কারণ মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করা। ডাউন সিনড্রোম ইন্টারন্যাশনালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এই দিনটি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: বড় বড় রোগের যম হেঁসেলের এই আনাজ, ৫ গুণই বাড়িয়ে দেয় আয়ু, নাম জানেন
আরও পড়ুন: কলার খোসাই দূর করবে ব্রণ, কোন জাদুতে মুশকিল আসান? রইল সেরা টোটকার হদিশ
ভাবনা বা থিম
প্রতি বছরই একেকটি বিশেষ ভাবনা বা থিমের উপর ভিত্তি করে দিনটির উদযাপন করা হয়। যেমন এই বছর বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসের মূল থিম ‘ইনক্লুশন মিনস’ অর্থাৎ সমাজে এমন মানুষের অন্তর্ভুক্তি জরুরি। এমন মানুষদের সমাজে পূর্ণ ও সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সমাজের প্রকৃত ছবির দিকে তাকালেই দেখা যাবে, ডাউন সিনড্রোম শুধু নয়, অন্যান্য বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের ক্ষেত্রেও গ্ৰহণযোগ্যতা খুব কম।
ডাউন সিনড্রোম কী?
একটা অতিরিক্ত ক্রোমোজমের জন্যই এই রোগটি হয়। আমাদের শরীরের ক্রোমোজোম আসলে জিনের প্যাকেজ। একটি শিশুর শরীর কীভাবে তৈরি হবে, তা এই ক্রোমোজোমই ঠিক করে দেয়। একজন সদ্যজাতের ৪৬ ক্রোমোজোম থাকে। এর মধ্যে ২১তম ক্রোমোজোম অতিরিক্ত থাকলেই এই রোগ দেখা দেয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup