একটা সময় ছিল যখন সর্দি, নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি হওয়া, কাশি থাকা ইত্যাদি লক্ষণ দেখলেই সকলে বুঝে যেতেন যে ঠাণ্ডা লেগেছে। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে এটা বলাটা খুবই চাপের ব্যাপার। কারণ এই সাধারণ লক্ষণগুলো হার্টের অসুখের লক্ষণ হতে পারে। অনেকে হয়তো জানেনই না যে সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা আর হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে একাধিক কমন লক্ষণ রয়েছে। দেখে নিন সাধারণ সর্দি কাশি এবং হার্টের অসুখের মধ্যে কোন লক্ষণগুলোর মিল রয়েছে?
মাথা ব্যথা, বমি ভাব, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরা, ইত্যাদি। এমন কোনও লক্ষণ দেখলে আর ফেলে রাখবেন না। বরং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান এবং তাঁর পরামর্শ নিন।
কিন্তু এবার প্রশ্ন হল কোন লক্ষণগুলো হার্টের অসুখের আর কোনটা সাধারণ সর্দি কাশির? কী করে বুঝবেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১. বমি ভাবের কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। বমি ভাব বা গ্যাসের সমস্যা সাধারণ জ্বর বা সর্দি কাশি হলেও দেখা দেয়। কিন্তু তার সঙ্গে থাকে জ্বর, মাথা ব্যথা, মাংস পেশিতে ব্যথার মতো একাধিক লক্ষণ। এছাড়া গলা ধরা, বা ব্যথা এবং ক্লান্তি ভাব থাকে।
কিন্তু হার্টের কারণে বমি ভাব পেলে শুধু বমি পাবে বা গা গুলাবে। অন্য কোনও উপসর্গ থাকবে না।
২. ঝিমুনি ভাবকে হালকা ভাবে নেবেন না। জ্বর হলে যেমন একটা ঝিমুনি বা ক্লান্তি ভাব থাকে, মাথা হালকা হয়ে যায় হার্টের অসুখেও কিন্তু এখন একই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে থাকছে মাথা ব্যথা।
৩. প্রচণ্ড ঘাম হওয়া কিন্তু জ্বর বা হার্টের অসুখ দুইয়ের লক্ষণ হতে পারে। যদি এটা কয়েকদিনে কমে যায় তাহলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এটা হতে থাকলেই, কিছুতেই না কমলে সতর্ক হন।
৪. মাথা ঘোরা: ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরা থাকতে পারে দুইয়ের ক্ষেত্রে। হার্টের অসুখ হলে তখন সেটা ঠিক করে পাম্প করতে পারে না বলে ক্লান্তি আসে। মাথা ঘোরা থাকে।
ফলে এই লক্ষণগুলো দেখলে সতর্ক হন, কয়েকদিনের মধ্যে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন দ্রুত। তবে আশার কথা এই যে সাধারণ সর্দি কাশি এবং হার্টের অসুখের মধ্যে কোনও যোগ সূত্র নেই যতই দুটো রোগের বেশ কিছু লক্ষণ এক হোক না কেন। কিন্তু লক্ষণগুলো খেয়াল করুন। এই লক্ষণ দেখে সবসময় সাধারণ সর্দি কাশি বলে এড়িয়ে যাবেন না। এতে বিপদ বাড়তে পারে।