বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > World Mental Health Day: নেশায় লেখক, পেশায় মনোবিদ! এই বাঙালির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন স্বয়ং ফ্রয়েডও
World Mental Health Day: নেশায় লেখক, পেশায় মনোবিদ! এই বাঙালির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন স্বয়ং ফ্রয়েডও Updated: 10 Oct 2023, 04:30 PM IST Sanket Dhar World Mental Health Day: নেশা ছিল লেখালেখি আর পেশা ছিল মনস্তত্ত্ব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি। আরেকটু ঠিক বাংলায় বললে তিনি মনোবিশ্লেষক বা সাইকোঅ্যানালিস্ট। যেই বিশেষ শাখার জনক ছিলেন ফ্রয়েড স্বয়ং। 1/10 স্বাধীনতার আগে বাংলা সাহিত্যে সেই সময় স্বর্ণযুগ। তাবড় তাবড় সাহিত্যিকরা সমৃদ্ধ করছেন আমাদের মাতৃভাষাকে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম বলে শেষ করা যায় না। 2/10 ঠিক সেই সময়েই রম্যরচনায় বাংলা সাহিত্যে সেরা স্থান অর্জন করলেন আরেক বাঙালি। রাজশেখর বসু। সাহিত্যচর্চার দিকে ঝোঁক থাকলেও বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর পড়াশোনা। আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন পুরাণ নিয়েও ছিল অগাধ জ্ঞান। 3/10 রাজশেখর বসুর মহাভারত, রামায়ণ আজও পুরাণ গবেষকদের কাছে অবশ্য়পাঠ্য। ছয় ভাইবোন ছিলেন রাজশেখর। তাঁর এক ভাইয়েরও ছিল একইরকম মেধা। তাঁর প্রশংসাতেই পঞ্চমুখ হন স্বয়ং ফ্রয়েড। 4/10 তিনি গিরীন্দ্রশেখর বসু। ১৮৮৭ সালে দ্বারভাঙায় জন্ম রাজশেখর বসুর এই ভাইটির। মেধাবী গিরীন্দ্রশেখরের ডক্টোরাল থিসিস ছিল মনোবিদ্যার একটি বিষয় নিয়ে। থিসিসটি লিখে পাঠিয়েছিলেন সিগমুন্ড ফ্রয়েডের কাছে। ততদিনে ফ্রয়েডের নানা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা বেশ বিখ্যাত। 5/10 পশ্চিম দুনিয়ায় রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল সেই তত্ত্ব। কিন্তু প্রাচ্যে তখনও তাঁর রেশ এসে পৌঁছায়নি। আনলেন প্রথম গিরীন্দ্রশেখর বসু। তাঁর থিসিসে। গিরীন্দ্রশেখরের কাজে রীতিমতো অবাক হয়ে যান ফ্রয়েড। 6/10 তার পর থেকেই দুজনের যোগাযোগ যা প্রায় ২০ বছর বজায় ছিল। রাশিয়ান বন্ধু লস অ্যান্ড্রিউজের কাছে প্রশংসা করে ফ্রয়েড লেখেন, সুদূর ভারতে গিরীন্দ্রশেখর নামে একজন সাইকোঅ্যানালিসেসর শাখা শুরু করছে। 7/10 নিজের আবিষ্কৃত তত্ত্ব একজনের মাধ্যমে প্রাচ্যে প্রসারিত হচ্ছে দেখে আপ্লুত হয়েছিলেন ফ্রয়েড। সেই নিরিখেই ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মনোব্লিশেষক বা সাইকোঅ্যানালিস্ট গিরীন্দ্রশেখর বসু। 8/10 ১৯২২ সালে ১৫ সদস্য নিয়ে কলকাতায় স্থাপন করেন ইন্ডিয়ান সাইকোঅ্যানালিটিকাল সোসাইটি। তাঁর উদ্যোগেই আর জি কর মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হয় সাইকিয়াট্রি বা মনোরোগ চিকিৎসার বিভাগ। 9/10 এবার আসা যাক নেশার প্রসঙ্গে। দাদার মতোই পুরাণ নিয়ে ছিল গভীর পড়াশোনা। সেই পড়াশোনার নিরিখেই তিনি লিখে ফেললেন ‘পুরাণপ্রবেশ’, ‘ভগবতগীতা’। মনোবিদ্যার প্রসঙ্গও এসেছিল তাঁর লেখায়, বইয়ের নাম ‘স্বপ্ন’। আবার আপাতদৃষ্টিতে ছোটদের জন্য লিখেছেন ‘লাল কালো’ - ডেঁয়ো পিপড়ের গল্প। আদতে যাতে জড়িয়ে যুদ্ধ রাজনীতি। 10/10 ফ্রয়েডের উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল সাইকোঅ্যানালিটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হন তিনি। আমৃত্যু ইন্ডিয়ান সাইকোঅ্যানালিটিকাল সোসাইটির সভাপতি ছিলেন গিরীন্দ্রশেখর বসু। এই সোসাইটি থেকে একটি মুখপত্রও ছাপা শুরু হয় তাঁর উদ্য়োগে - সমীক্ষা। মনের, মানুষের, সমাজের সমীক্ষাই ছিল বিষয়বস্তু।