নাম আয়ান গোয়েল। এককথায় বিষ্ময় বালক। মাত্র ১০ বছর বয়সে ইউপি বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে সে। সে পেয়েছে ৭৬.৬৭ শতাংশ নম্বর। একেবারে ডিস্টিংশন পেয়ে সে ইউপি বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেছে। অয়নের নম্বর একেবারে তাক লাগানো। সে হিন্দিতে পেয়েছে ৭৩ নম্বর, ইংরাজিতে পেয়েছে ৭৪ নম্বর, অঙ্কে পেয়েছে ৮২ নম্বর, বিজ্ঞানে পেয়েছে ৮৩ নম্বর, সোশ্যাল সায়েন্সে পেয়েছে ৭৮ নম্বর ও কম্পিউটারে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০।
এদিকে নিয়ম অনুসারে সাধারণত ১৪ বছর বয়স না হলে কেউ ইউপি বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারে না। তবে স্কুলের প্রিন্সিপাল আয়ানের জন্য বিশেষ অনুমতি নিয়েছিলেন বোর্ড থেকে। সেই মতো সে ১০ বছর বয়সেই মাধ্যমিকে বসে যায়। আর প্রথমবার বোর্ডের পরীক্ষায় বসেই তাক লাগিয়ে দিল সে।
আয়ান গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা। তার বাবা চার্টার্ড অ্য়াকাউন্ট্যান্ট। মা সবিতা গুপ্তা। তিনি আয়ানকে পড়াশোনায় নানা সহায়তা করেছেন। তার অভিভাবকরা জানিয়েছেন অতিমারির সময় সেই একই ক্লাসের বই পড়তে পড়তে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিল আয়ান। এরপর সে উঁচু ক্লাসের বই পড়তে শুরু করে। এরপরই দেখা যায় সেই বইগুলোর পড়াশোনা সে আয়ত্ত করে ফেলছে। এরপর তাকে টিউশন দেওয়া হয়। ঠিক করা হয় তাকে এমন স্কুলে ভর্তি করতে হবে যে যেখান থেকে সে কম বয়সেই মাধ্য়মিক দিতে পারে।
বড় হয়ে কী হতে চায় আয়ান? আয়ান বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। সে এখন থেকেই তার জন্য় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
আয়ান শিবকুমার জনতা ইন্টার কলেজে পড়াশোনা করেছে। কলেজের অধ্য়ক্ষ চন্দ্র প্রকাশ আগরওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আয়ান পুরো এক্সট্রা অর্ডিনারি বালক। সে ক্লাস নাইনে ভর্তি হয়েছিল। তার আগে সে বাড়িতে পড়াশোনা করত। সে প্রতিটি বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছে।
এদিকে একটি সংবাদমাধ্যমে আয়ানের বাবা জানিয়েছেন, আমরা জানতাম সে ভালো ফলাফল করবে। আমরা ভেবেছিলাম ৭৫-৮০ শতাংশ নম্বর সে পাবে। আমরা ভেবেছিলাম একমাত্র সে হিন্দিতে খারাপ পেতে পারে। কিন্তু সেখানেও সে ভালোই পেয়েছে।
এদিকে গত ১০০ বছরে এই প্রথম উত্তর প্রদেশ বোর্ড ৬৭দিনে ফলাফল বের করেছে। এবার পাসের হার ৭৫.৫২ শতাংশ।