বয়স মাত্র ১২। আর সেই বয়সেই বিয়ে দিলেন লখনউয়ের আবদুল হাই রশিদ ফিরঙ্গী মাহালি।
লখনউয়ের লা মার্টিনিয়ার কলেজে পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া আবদুল সম্ভবত কনিষ্ঠতম হিসেবে বিয়ে দেওয়ার নজির গড়লেন । নিকাহের সময় একেবারে সাবলীল ভঙ্গিতে কোরান পাঠ করেন তিনি। তাঁর দক্ষতায় অবাক হয়ে যান বিয়েতে আগত অতিথিরাও।
দীর্ঘদিন ধরেই আবদুলের পরিবারের সদস্যরা বিয়ে দেন। তাঁর বাবা তথা সুন্নি মৌলবী মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গী মাহালি মাত্র ২০ বছরে প্রথম বিয়ে দেন। তাঁকেও ছাপিয়ে গেলেন ছেলে। গর্বিত বাবা জানান, তাঁর ছেলে অত্যন্ত মেধাবী। গড়গড় করে কোরানের শ্লোক বলতে পারেন।
আবদুল বলেন, 'ইসলামিক স্টাডিজে ডক্টরেট করতে চাই আমি ও নিপীড়িতদের জন্য কাজ করতে চাই। আমি সবাইকে শিক্ষিত হিসেবে দেখতে চাই।'
সুন্নি মৌলবীর দাবি, এত কম বয়সে বিয়ে দিয়ে একাধিক নজির গড়েছেন তাঁর ছেলে। খালিদ বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ছেলেমেয়ের পরিবার আবদুলের জ্ঞান নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু একবার শ্লোক বলা শুরু করার পর সবাই চমকে যান। নিখুঁতভাবে নিকাহ দিয়েছে ছেলে।'
খুশি দুই পরিবারই। ছেলে কামিল উমর জিলানি বলেন, 'এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল। এরকম ইতিহাসের অংশ হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।'