উৎকর্ষ আনন্দ
গণধর্ষণ ও খুনের মামলা থেকে তিনজনকে রেহাই দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নিম্ন আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল। দিল্লিতে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে তার দেহ মেলে হরিয়ানায়। এবার ওই তরুণীর বাবার তরফে সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য় আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী এস শর্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই তরুণীর অভিভাবকদের তরফে একটি রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু ইস্য়ুকে শীর্ষ আদালতের সামনে আনা হয়েছে। আমাদের দাবি এই নির্দেশকে পুনরায় বিবেচনা করা হোক। ট্রায়াল কোর্টের যে রায় হাইকোর্টেও বহাল ছিল সেটাই বজায় রাখা হোক।
এদিকে গত মাসে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল গোটা পরিস্থিতিটা বিবেচনা করে, আর প্রামাণ্য নথি দেখে আগের রায় বহাল রাখাটা খুব কঠিন।
এদিকে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মনে হচ্ছে কিছু কিছু ভুল থেকে গিয়েছে।একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণকে এড়িয়ে গিয়েছে শীর্ষ আদালত। সামান্য সমণ্বয়ের অভাব সেটাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিএনএ ম্য়াচ, কল রেকর্ডের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমান এই মামলায় রয়েছে বলে পিটিশনে দাবি করা হয়েছে।
ওপেন কোর্ট হিয়ারিংয়ের ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগের ঘটনা। ওই তরুণীকে উত্তরাখণ্ড থেকে তুলে নিয়ে এসে দিল্লিতে আনা হয়েছিল। হরিয়ানার রেওয়ারি জেলায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।
২০১২ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি চাওলা ক্যাম্পের কাছে বাস থেকে নেমে হাঁটছিলেন। সেই সময় তিনি গুরুগ্রামের সাইবার সিটিতে কাজ করতেন। দুজন বন্ধুর সঙ্গে তিনি হাঁটছিলেন। সেই সময় গাড়িতে চাপিয়ে কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁর দেহ মেলে হরিয়ানায়।