একজন রোগীর মৃত্যুর জেরে অসমের কোভিড কেয়ার সেন্টারের এক চিকিৎসককে হেনস্থা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে। উদালিতে কর্মরত চিকিৎসক সেউজ কুমার সেনাপতির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বুকে পেটে আঘাত লাগে। অসমের হোজাই জেলার এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় চিকিৎসক মহলে। বুধবার সকাল ৭টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে আউটডোরের কাজ বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্য়াসোসিয়েশনের হোজাই ইউনিট। এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে কড়া নির্দেশ দেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে ময়দানে নামে পুলিশ। এরপরই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক মহিলা সহ ২৪জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুুলিশ।
মুখ্য়মন্ত্রী তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘এই বর্বরোচিত ঘটনায় অভিযুক্ত ২৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। এই তদন্তের ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনিটরিং করছি। আমি কথা দিচ্ছি ন্যায় বিচার মিলবেই।’
এদিকে মোবাইলে তোলা ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও পরবর্তী সময়ে প্রকাশ্যে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঝাঁটা. বাসনপত্র দিয়ে পেটানো হচ্ছে চিকিৎসককে। লাথিও মারা হচ্ছে তাঁকে। এদিকে আইএমএর দাবি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। ঘণ্টা তিনেক বাদে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই চিকিৎসককে মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মোহন্ত জানিয়েছেন,' চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর হামলা বরদাস্ত করব না। তাদের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছি। তাদের গায়ে হাত তুললে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' এদিকে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় বুধবার অসমে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ দিবস পালন করছেন চিকিৎসকরা।