পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর দুষ্কৃতী এবং কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ঘটনা প্রতিনিয়তই হয়ে চলেছে। এরই মাঝে এবার রিপোর্টে দাবি করা হল, সিন্ধ প্রদেশের প্রায় ৩০ জন হিন্দুকে অবহরণ করে বন্দি করে রেখেছে দুষ্কৃতীরা। বন্দি অবস্থায় থাকা পাকিস্তানি হিন্দুদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং মহিলা বলে দাবি করা হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় এবং ঘোটকি জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি মানবাধিকার সংগঠন। এদিকে মানবাধিকার সংগঠনের তরফে হিন্দু মন্দিরে হামলার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এই নিয়ে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তদন্ত করতে বলেছে কমিশন। (আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতির খোঁচায় পকেট ফুটো পাকিস্তানিদের, করাচিতে ১ কেজি আটার দামে ঘুরবে মাথা)
সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচিতে গুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই মন্দিরটি ১৫০ বছর পুরনো বলে জানা গিয়েছে। বুলডোজার দিয়ে মন্দিরটি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ধ্বংস করা হয় আরও একটি মন্দির। এই ক্ষেত্রে রকেট হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরটি। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ সিন্ধের কাশমোড় এলাকাতেই। এই অঞ্চলে বেশ অনেকজন হিন্দুর বাস বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে কাশমোড় এলাকার স্থানীয়রা বছরে একবার করে পুজো দেন। এই আবহে দুষ্কৃতীরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। এদিকে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন কাশমোড়-কাঁধকোটের এসএসপি ইরফান সম্মো। এদিকে হামলার সময় মন্দিরটি বন্ধ ছিল। তাই হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাগরি সমাজের লোকেরা বছরে একবার করে এই মন্দিরে প্রার্থনা করেন। তখনই এই মন্দির খোলা হয়।
এদিকে হামলা প্রসঙ্গে পুলিশ কর্তা ইরফান সম্মো জানান, 'দুষ্কৃতীরা রবিবার ভোররাতে নির্বিচারে গুলি চালায় মন্দির লক্ষ্য করে। রকেট হামলাও চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা সেখান থেকে চম্পট দেয়। কোনও দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরতে পারেনি। তবে দোষীদের গ্রেফতার করতে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।' এই হামলায় মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। এদিকে ৩০ জনের অপহরণ নিয়ে পাক মানবাধিকার কমিশনের দাবি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বা সরকারের কেউ এখনও মুখ খোলেনি।