মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল লন্ডনে। দীপাবলি পালন করতে গিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল ৩ শিশুসহ আফগান বংশোদ্ভূত হিন্দু পরিবারের ৫ সন্দস্যের। এছাড়া, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে। এই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান শন উইলসন এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন, আতঙ্কে শিউরে ওঠেন রোগীরা
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির বারান্দায় প্রচুর বাজি পোড়ানো হয়েছিল। তা থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়।রবিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ হাউন্সলোতে অবস্থিত ওই বাড়িতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১০টি দমকল ইঞ্জিন এবং ৭০ জন দমকলকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ঘর থেকে একে একে ৫ টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।
অগ্নিকাণ্ড এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে তা আশেপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কায় পুলিশ আশেপাশের বাড়িগুলি খালি করে দেয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পরিবারের আত্মীয়দের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ফলে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। জানা গিয়েছে, আফগান নাগরিক সীমা রাত্রা ও তার স্বামী অরেন কিশেন তাদের ৩ সন্তানের সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই দিন সন্ধ্যায় প্রচুর আতশবাজি ফাটানো হয়েছিল। পুলিশ প্রধান বলেছেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তবে আগুন লাগার পিছনে অন্য কারণ আছে কি না তা জানার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ।
মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান শন উইলসন জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর দ্রুত সেখানে দমকল এবং পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু, তাদের পৌঁছানোর আগেই ৫ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ম্যানচেস্টার থেকে সেখানে ছুটে যান ওই পরিবারের আত্মীয় দিলীপ সিং। তিনি জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে তার আত্মীয়ের পরিবার থাকত। খবর পেয়ে তিনি এখানে আসেন।