বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > পাকিস্তানের পঞ্জাবে প্রথমবার ধরা পড়ল ISIS মহিলা জঙ্গি! টার্গেট ছিল একাধিক জায়গা

পাকিস্তানের পঞ্জাবে প্রথমবার ধরা পড়ল ISIS মহিলা জঙ্গি! টার্গেট ছিল একাধিক জায়গা

পাকিস্তানে গ্রেফতার মহিলা আইএসআইএস জঙ্গি। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

ওই মহিলারা দায়েশ (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট)–এর সক্রিয় সদস্য।  দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এই মহিলারা। ধৃত মহিলা জঙ্গিদের নাম আইমান, জাভেরিয়া, সাদিয়া, ফাইজা ও ফাখরা। তাদের বিরুদ্ধে দেশের সন্ত্রাসী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

পাকিস্তানে এই প্রথমবার গ্রেফতার হল মহিলা আইএসআইএস জঙ্গি। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে পাঁচ মহিলা আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা লাহোর এবং শেখুপুরা থেকে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, নগদ টাকা, নথিপত্র ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিটিডির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: সংঘর্ষে নিহত শীর্ষ আইএস নেতা, এরপর গদিতে কে? জানাল জঙ্গি সংগঠন

পাক সিডিটির তরফে জানানো হয়েছে, ওই মহিলারা দায়েশ (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট)–এর সক্রিয় সদস্য।  দেশে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এই মহিলারা। ধৃত মহিলা জঙ্গিদের নাম আইমান, জাভেরিয়া, সাদিয়া, ফাইজা ও ফাখরা। তাদের বিরুদ্ধে দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য তাদের অজ্ঞাত জেলে রাখা হয়েছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ইতিহাসে মহিলা আইএসআইএস জঙ্গিদের গ্রেফতার এই প্রথম। 

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসে সিটিডি ২০ জনেরও বেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এই সমস্ত জঙ্গিরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য এবং ধর্মীয় স্থানগুলিকে টার্গেট করতে চেয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং আইএসআইএসের সদস্য। গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকার এবং টিটিপির মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এই বছর কয়েকশো জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা বেড়েছে।

কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাক নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে একটি আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় ন'জন জওয়ান নিহত হয়েছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন পাঁচজন। পরে সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন বাইকে করে সেনাবাহিনীর ওই কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। এরপরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বিস্ফোরণ স্থল ঘিরে রাখে। ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। শেষে টিডিপি দায় স্বীকার করে। পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।

বন্ধ করুন