চিনের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে সিচুয়ান প্রভিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর উঠে আসে। এছাড়াও ২৪৮ জন এই মুহূর্তে ভূমিকম্পের জেরে আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে রিখটার স্কেলে ৬.৬ কম্পনের মাত্রা ছিল ঘটনার। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে এই ঘটনায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ভয়াবহ কম্পনে কেঁপে ওঠা চিনে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মুহূর্তে উদ্ধারে নামে দমকল। ১১,০০০ জনকে তাঁরা উদ্ধার করে। নিরাপদে রাখা হয় তাঁদের। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আফটার শক উঠে আসতে থাকে। গোটা সিচুয়ান এই ঘটনার জেরে বিধ্বস্ত। তবে কম্পন অতিমাত্রায় অনুভূত হয় সেখানের চেংড়ুতে। চিনের আর্থ কোয়েক সেন্টার জানিয়েছে এই কম্পনের কেন্দ্র স্থল হল লুডিং। পার্বত্য এই এসাকাই কম্পনের কেন্দ্রস্থল বলে জানা গিয়েছে। তিব্বতীয় এলাকার ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে। শিমিয়ানে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত সিচুয়ান চরম তৎপরতা ধরে রেখেছে। চিনের আর্থকোয়েক ইমার্জেন্সি 'লেভেল ২' তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই কম্পনের ফলে বহু ধরনের নগরোন্নয়নের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইজরায়েলের গুলিতে সাংবাদিকের ‘সম্ভবত’ মৃত্যু ,তবুও জওয়ানরা অভিযুক্ত নয়!
জানা গিয়েছে, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বোতভাবে উদ্ধার কাজের ডাক দিয়েছেন। যেখানে ক্ষতি হয়েছে, সেই সমস্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের পথে হাঁটতে চাইছে চিন। তবে আপাতত নিত্য প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যক সামগ্রী যোগানের বন্দোবস্ত চলছে। উল্লেখ্য, সিচুয়ানের ইতিহাসে রয়েছে একাধিক ভয়াবহ ভূমিকম্প। এর আগে ২০০৮ ও ২০১৩ সালেও এমন ভূমিকম্প দেখা গিয়েছে।