আগামী ২৫ জুন বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় উদ্বোধন হতে চলেছে পদ্মা সেতুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। বিশ্ব ব্যাংকের মতো সংস্থা এই সেতু নির্মাণে আর্থিক সাহায্য করতে অস্বীকার করে। তারপর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থে এই সেতু নির্মাণের কাজে উদ্যোগী হয়। অবশেষে এই সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হতে চলেছে। সম্পূর্ণ দেশিয় অর্থে তৈরি এই সেতু আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশের মানুষের নিজস্ব সেতু। ঠিক সেই কারণেই এই সেতুকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ও উৎসাহ প্রবল। সেই উৎসাহে নতুন মাত্রা যোগ হল, যখন জানা গেল উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে সেতুর আদলে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে বিরাট মঞ্চ। খবর বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
বাংলাদেশ সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই দিন প্রায় ১০লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে। বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর থেকে এত বড় জনসভা এই প্রথম হতে চলেছে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
প্রস্তুতির ৯০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত পুরো কাজও শেষ হবে। জনসভার জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৫০ ফিট দৈর্ঘ্য একটি বিশাল মঞ্চ। দশ লক্ষাধিক মানুষের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী ৫০০ টয়লেট, ভিআইপিদের জন্য থাকছে ২২টি আলাদা টয়লেট। রয়েছে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা। পরিশ্রুত জলের জন্য থাকছে অসংখ্য জলের কল। তিনটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, সভাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে দর্শকদের জন্য থাকছে ২৬টি এলইডি মনিটর, ৫০০ মাইকসহ অত্যাধুনিক সাউন্ডসিস্টেম।
জানা গেছে, জনসভাস্থলের তিন বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে আলোকসজ্জার কাজ চলছে। বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে ইতোমধ্যেই। পুরো এলাকার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জনসভায় আসা জনসাধারণের জন্য ২০ শয্যার ১টি এবং ১০ শয্যার ২টি ভ্রাম্যমান চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।