এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব-কাণ্ড নিয়ে নয়া একটি তত্ত্ব সামনে এল। এক ব্যক্তি নিজেকে বিমানকর্মী (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) হিসেবে দাবি করে ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। সঙ্গে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন।
শনিবার সাংবাদিক বরখা দত্ত টুইটারে একটি দুটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। যা এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিমানকর্মী (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) বলেছেন বলে দাবি করা হয়। তবে ওই বিমানকর্মী গত ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-নয়াদিল্লি বিমানে ছিলেন কিনা, তা কিছু স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। যে বিমানে শঙ্কর মিশ্র নামে এক ব্যক্তি এক বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক বরখার পোস্ট করে স্ক্রিনশট অনুযায়ী, ওই বিমানকর্মী (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দাবি করেছেন যে ঘটনার দিন নিউ ইয়র্ক-নয়াদিল্লি বিমানে ধারের আসনে বসেছিলেন শঙ্কর মিশ্র (৮সি)। অন্যদিকে, জানালার ধারের আসনে বসেছিলেন ওই বৃদ্ধা (৯এ)। ওই বিমানকর্মী বলেন, ‘গ্যালারিতে এসে ওই বৃদ্ধা বিমানকর্মীদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর গায়ে প্রস্রাব করা হয়েছে। (বিষয়টি শুনে) দ্রুত বিমানকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং দেখেছিলেন যে শঙ্কর ঘুমাচ্ছেন।’
ওই স্ক্রিনশট অনুযায়ী, ওই বিমানকর্মী দাবি করেন যে সেইসময় বৃদ্ধার সমর্থনে এগিয়ে আসেন শঙ্করের সারিতে জানালার ধারে বসে থাকা যাত্রী। যিনি ঘুমোচ্ছিলেন এবং আচমকাই উঠে বৃদ্ধার সমর্থন করেন বলে দাবি করেছেন ওই বিমানকর্মী। তিনি আরও দাবি করেন, প্রস্রাবের দুর্গন্ধের জন্য বৃদ্ধার সঙ্গে প্রথম ক্লাসে যাওয়ার আর্জি জানাতে থাকেন। যে যাত্রী নাকি বিমানের প্রথম ক্লাসে যাওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। যে আর্জি ক্যাপ্টেন খারিজ করে দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই স্ক্রিনশটে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)।
সেইসঙ্গে ওই বিমানকর্মী (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রশ্ন তুলেছেন, ধারের আসনে বসে থাকা কোনও যাত্রী নিজের সিটে উঠে জানালার দিকে বসে থাকা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করছেন এবং পাশে থাকা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব পড়ছে না, এটা কি হতে পারে? সেই প্রশ্নের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহরাকারীদের একাংশের দাবি, শঙ্করকে আড়াল করতে এরকম তথাকথিত বিমানকর্মীদের বয়ান সামনে আনা হচ্ছে।
সেই 'বিমানকর্মী'-র তত্ত্ব সামনে আসার মধ্যেই শুক্রবার আদালতে শঙ্করের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, তাঁর মক্কেল প্রস্রাব করেননি। বরং অভিযোগকারী মহিলা কত্থক শিল্পী। তাই নিজেই নিজের গায়ে প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন। যে সমস্যা ৮০ শতাংশ কত্থক শিল্পীরই আছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)