নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে জেলে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। আর জেলে বসেই রাজৌর দলের এই সভাপতি বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। এই নব বিধায়ককে আজ, শুক্রবার অসম বিধানসভায় শপথের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল। অভিযোগ, তখন তাঁকে নিগ্রহ করা হয় পুলিশ এবং অন্যান্য আধিকারিকদের পক্ষ থেকে। হ্যাঁ, তিনি শিবসাগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীকে হারানো নেতা অখিল গগৈ।
অসম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার তৈরি হলেও অখিল গগৈ আলাদা ছাপ রেখে গিয়েছে। ৪৫ বছর বয়সের এই বিধায়ক যথেষ্ট জনপ্রিয় এই এলাকায়। তিনি বিজেপির সুরভি রাজকোনওয়ারি প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। তাও আবার বিনা প্রচারে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তাঁকে শপথ নিতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। আর তা নিতে গিয়েই নিগৃহীত হতে হয়েছে তাঁকে বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে নবনির্বাচিত বিধায়ক অখিল গগৈ অভিযোগ করেন, ‘আমি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য। তাহলে কেন আমাকে নিশানা করা হচ্ছে? ধাক্কা দেওয়া হয়েছে পশুর মতো। এটা অসমের মানুষ এবং শিবসাগরের মানুষের জন্য অপমানজনক। এই কেন্দ্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমার কন্ঠরোধ করা যাবে না।’ তবে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজে কোভিড–বিধি মানা হচ্ছে না বলে সোচ্চার হন অখিল।
ঠিক কী ঘটেছে অখিল গগৈয়ের সঙ্গে? এই বিষযে অখিল বলেন, ‘কুড়ি জন পুলিশকর্মী আমাকে বাসে করে নিয়ে আসে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী কারও সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করে দেওয়া হয়। তারপর বিধানসভায় পৌঁছতেই আমার জামা টেনে ধরা হল এবং টানতে টানতে ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হল।’ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নজরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।