উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে সমাজবাদী পার্টি। জয়ী হয়েছে বিজেপি। তবে এবার খেলা জমে গিয়েছে। কারণ এবার বহু আসন নিয়ে বিধানসভায় বিরোধীর ভূমিকায় থাকছে সমাজবাদী পার্টি। আর বিরোধী দলনেতা হয়েছেন অখিলেশ যাদব। ফলে এখন মুখোমুখি যোগী আদিত্যনাথ–অখিলেশ যাদব। শনিবার সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় কোনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিরোধী দলনেতার পদে দেখা যায়নি।
এই নির্বাচনে জয়ের পরই অখিলেশ সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধায়ক পদ বেছে নেন। এবার বিধায়ক থাকার পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও হচ্ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিতে মুলায়ম পুত্র অখিলেশ যাদবকে পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদিন লখনৌতে বিধায়ক দলের বৈঠকে অখিলেশ যাদবের নাম প্রস্তাব করেন সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা অবধেশ প্রসাদ। আর সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন বিধায়ক আলম বদী। এমনকী রাষ্ট্রীয় লোক দল–এর নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মৈনপুরী জেলার করহল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন অখিলেশ যাদব। আজমগড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। অখিলেশ জানান, আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে রাজ্য–রাজনীতিতে বাড়তি সময় দেবেন তিনি। তাই বিধায়ক পদ রেখে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছেন। অখিলেশের পাশাপাশি রামপুরের সাংসদ পদে ইস্তফা দেন সমাজবাদী পার্টির আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সদ্যনির্বাচিত বিধায়ক আজম খান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সমাজবাদী পার্টির আসন ছিল ৪৭। সেখান থেকে বেনে এবার হয়েছে ১১১। সুতরাং উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এসপি তাদের ভোট ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। আর এসপি’র সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোক দল ৮ এবং সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি ৬টি আসনে জিতেছে। অন্য দিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৭৩টি বিধানসভা কেন্দ্র।