এর আগে সংসদে বসে চোখ মারতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। আবার সটান গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বুকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর আজ রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় নাকি তিনি বিজেপি সাংসদদের দিকে ফ্লাইং কিসের অঙ্গভঙ্গি করেন। যা নিয়ে বেজায় চটেছেন স্মৃতি ইরানি। উল্লেখ্য, আজ অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিনে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেছিলেন রাহুল। এরপর অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে বলতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সেই সময় হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। সভাকক্ষ ছেড়ে চলে যান রাহুল গান্ধী। তাঁর রাজস্থানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। সেই সময় নাকি বিজেপি সাংসদদের দিকে ফিরে ফ্লাইং কিসের অঙ্গভঙ্গি করেন রাহুল। আর তা নিয়ে সরব হন স্মৃতি। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে এই স্মৃতি ইরানির কাছেই হেরেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে দু'টি আসনে লড়াই করেছিলেন তিনি। কেরলের ওয়ানাড আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল।
রাহুলের বিরুদ্ধে ফ্লাইং কিসের অভিযোগ তুলে আজ স্মৃতি বলেন, 'যে ব্যক্তি আমার আগে বক্তব্য রেখেছিলেন, তিনি খুবই খারাপ ব্যবহার করে সংসদ ছেড়েছেন। একজন মহিলা সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি একটি ফ্লাইং কিসের ইঙ্গিত করেছেন। শুধুমাত্র একজন অসামাজিক পুরুষই এই কাজ করতে পারেন। এটি দর্শায় যে তিনি কোন সংস্কৃতি থেকে এসেছেন এবং তাঁর পরিবার ও দল মহিলাদের সম্পর্কে কী অনুভব করে। এর আগে কখনও এই ধরনের আচরণ দেখা যায়নি দেশের সংসদে।' এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির মহিলা সাংসদরা খুব দ্রুতই স্পিকার ওম বিড়লার কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করবে।
এদিকে আজ মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্র ও মোদীকে পরপর তোপ দেগেছেন রাহুল। আজ সংসদে রাহুল গান্ধী আজ বলেন, ‘এরা মণিপুরে ভারতের হত্যা করেছে। ভারত একটা আওয়াজ। আমাদের দেশের মানুষের মনের আওয়াজকে মণিপুরে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরের লোকদের মেরে ভারতমাতাকে খুন করেছে। আপনারা দেশদ্রোহী। দেশপ্রেমী নয়। ভারতীয় সেনা একদিনে মণিপুরকে শান্ত করতে পারে। তবে আপনারা তা করছেন না। মোদী ভারতের আওয়াজ শোনেন না। রাবণ দু'জনের কথা শুনত। মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণ। আর মোদী শোনেন অমিত শাহ ও আদানির আওয়াজ। লঙ্কা হনুমান জ্বালাননি। লঙ্কা পুড়েছিল রাবণের অহংকারে।’
এদিকে রাহুলের মণিপুর তোপের জবাবে স্মৃতি আজ বলেন, 'সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বারবার বলেছেন যে সরকার মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে বিরোধীরা পালিয়েছেন।' পাশাপাশি শিখ দাঙ্গা, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতারিত করার মতো প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে স্মৃতি পালটা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন নারী নিরাপত্তা এবং সম্মানের ইস্যুতে।