চাকরি সরকারি হোক বা বেসরকারি। ছাঁটাই হতে পারে যখন তখন। সে আপনি 'জাদুবিদ্যা' জানলেই বা কী যায় আসে!
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের 'অফিসিয়াল উইজার্ড' ছিলেন ইয়ান ব্র্যাকেনবারি। ৮৮ বছর বয়সী ইয়ান গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পদে 'কাজ' করছেন। তাঁদের বেতন দিত সরকার। ভারতীয় মুদ্রায় বছরে প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ভাতা পেতেন তিনি। তবে এখন পুরোটাই ভ্যানিশ।
নয়া বেতন কাঠামোয় 'উইজার্ড্রি' বা জাদুবিদ্যার প্রাচীন পদটিকে সরকারি চাকরির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তন্ত্রমন্ত্র করার জন্য আর করদাতাদের টাকা যাবে না তাঁর পকেটে।
সিটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত স্বভাবতই বেজায় চটেছেন ইয়ান। রাগের সুরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ওঁরা তো একদল আমলা। ওঁদের কোনও কল্পনাশক্তি আছে নাকি?'
কিন্তু, একজন অফিসিয়াল উইজার্ড করেন কী? তাঁকে কেন বেতন দেওয়া হত? কী করে এমন সরকারি চাকরি জোগাড় করলেন তিনি?
এই পদটা পুরোটাই প্রতীকী। বেশ প্রাচীন পদ। ১৯৮২ সালে শেষবার এই একটি পদেই স্থান পান ইয়ান ব্র্যাকেনবারি।
তাঁর কাজ ছিল ভাল আবহাওয়ার কামনা করা, বৃষ্টির জন্য মন্ত্র পড়া, দেশের কোনও টিম খেলতে গেলে তার জন্য মন্ত্র পড়ে দেওয়া(যেগুলো বেশিরভাগই কাজ করেনি), পর্যটকদের বিনোদন দেওয়া।
প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক পদ ছিল। বিভিন্ন কাজের আগে তিনি তুকতাক করলেও কেউ সেটা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। তবে জনগণের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।
তাহলে সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই কেন?
এই পদের যে কোনও প্রয়োজন ছিল না, তা বলাই বাহুল্য। ফলে করদাতাদের টাকা অপচয় রোধ ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য। তাছাড়া ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বেঁফাস মন্তব্য করতেন ইয়ান। কখনও নারীবিদ্বেষী, কখনও বা আলপটকা রাজনৈতিক মন্তব্য করতেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর পদটাই বিলোপ করে দিয়েছে সিটি কাউন্সিল।