কেজরির মন্ত্রিসভায় ফের ব্রাত্য নারী, নেই অতিশিও!

তবে কেজরির জমানায় যে দিল্লি নারী মন্ত্রী পায়নি, তা অবশ্য ঠিক নয়। কারণ আপের প্রথম জমানায় কিছুদিনের জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন রাখি বিড়লা।

কেজরির মন্ত্রিসভায় ফের ব্রাত্য নারী

কেজরির মন্ত্রিসভায় এবারও ব্রাত্য থেকে গেলেন নারীরা। এমনকী অতিশির মতো হেভিওয়েট প্রার্থী অতিশি মারলেনাও দিল্লির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না।

দিল্লি নির্বাচনের প্রচারর্বে শিক্ষাব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর সরকার কীভাবে রাজধানীর সরকারি স্কুলের আমূল সংস্কার করেছে, তা বারেবারে তুলে ধরেছেন। সেজন্য সবথেকে বেশি কৃতিত্ব পান অতিশি। যিনি সেই সময়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার পরামর্শদাতা ছিলেন। তাঁর পরিকল্পনাতেই স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার হয়। তাই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছিল, ভালো কাজের পুরস্কার পাবেন অতিশি। তিনি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়ায় সবথেকে বেশি ভ্রূ কুঁচকেছে রাজনৈতিক মহলের।

যদিও কেজরিওয়ালের দ্বিতীয় দফার মন্ত্রিসভাতেও কোনও মহিলা সদস্য ছিলেন না। সেবার (২০১৫ সালের নির্বাচন) ছ'জন মহিলা প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছিল আপ। প্রত্যেকেই জিতেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রিসভার ঠাঁই হয়নি। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।

অথচ এবার ভোটে বিভিন্ন নারী-কেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। মহিলাদের সুরক্ষা, সরকারি বাসে মহিলাদের বিনামূল্যে যাতায়াতের মতো বিষয়গুলির উপর জোর দেন। গতবারের থেকে বেশি মহিলা প্রার্থীকে টিকিটও দেন। আটজন জিতেছেন। একমাত্র রোহতাস নগর থেকে হেরেছেন সরিতা সিং। অতিশি ছাড়াও জেতার তালিকায় রয়েছেন রাখি বিড়লা, রাজ কুমারী ধিঁলোনের (হরি নগর কেন্দ্রে তেজিন্দর সিং বাগ্গাকে হারান) মতো প্রার্থীরা।

তবে কেজরির জমানায় যে দিল্লি নারী মন্ত্রী পায়নি, তা অবশ্য ঠিক নয়। কারণ আপের প্রথম জমানায় কিছুদিনের জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন রাখি।ফলে এবার অত্যন্ত এক থেকে দু'জন মহিলা বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় নেবেন কেজরি বলে রাজনৈতিক মহলের আশা ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা পূর্ণ হয়নি।