বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ, ডেভিড লইতফ্লাং
প্রবল বৃষ্টিতে, ধসে অসমে পাঁচজনের মৃত্যু। মেঘালয়ে মৃত্যু হয়েছে ১জনের। গত তিনদিনে দুই রাজ্য মিলিয়ে ৩৯জনের মৃত্যু হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি বর্ষার মরসুমে অসমে ৫৮জনের ও মেঘালয়ে ৩২জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর আগামী ২০ জুন পর্যন্ত উত্তর পূর্বে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। এর জেরে ফের অসমের পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা শনিবার মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন।
পূর্ব খাসি পাহাড়ের জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপন দফতর জানিয়েছে, ৯জনের ধসে মৃত্যু হয়েছে।পূর্ব খাসি পাহাড়ে ধসের জেরে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার। গিলাবোরা ও কলাইবারি গ্রাম থেকে বার বার হরপা বান ও ধসের খবর আসছে।
এদিকে বিভিন্ন রাস্তা ধসের জেরে অবরূদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিএসএফের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এদিকে সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির উপর জোর দিচ্ছে।
শনিবার অসমে পাঁচজনের মৃত্যু ও চারজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত পাঁচদিনে এনিয়ে ২০জনের মৃত্যু হয়েছে অসমে। রাজ্যের প্রায় ৩০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অতিবৃষ্টি ও ধসের জেরে। ব্রহ্মপুত্র ও অসমের আরও ৮টি নদী বিপদসীমার উপর বইছে। গুয়াহাটি শহরের বহু নীচু এলাকা জলের নীচে চলে গিয়েছে। কাজিরাঙা সহ জঙ্গলের অন্তত ২৩, ৩২,২১০টি পশু বন্যায় সমস্যায় পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে।