করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরীক্ষা আয়োজন করা যাচ্ছে না। তাই বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সাময়িকভাবে দ্বিতীয় বর্ষে তুলে দেওয়া হল। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে হবে। পাশ করতে না পারলে প্রথম বর্ষেই রেখে দেওয়া হবে।
এমনিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে। আপাতত আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণও বেড়েছে। বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩,৯৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিলের পর দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যা ৪ মে'র পর সর্বোচ্চ। ফলে আদৌও কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।
সেই পরিস্থিতিতে বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সাময়িকভাবে দ্বিতীয় বর্ষে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস করতে পারবেন। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই খাতায়কলমে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ করে দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে আবারও প্রথম বর্ষে নামিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি জানান, পড়ুয়াদের স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই বিভিন্ন ধরনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়া হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে, বাতিল হলে কীভাবে মূল্যায়ন হবে, সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রক। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ ক্রমশ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।