বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নাকি মহম্মদ আলি জিন্নাহের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস জোট। এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। বিরোধী জোটকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি জানতে চান, দুই দল পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতার ভাবাদর্শকে সমর্থন করে কিনা। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
আসন্ন নির্বাচনে দারভাঙ্গা জেলার জালে আসনে মসকুর আহমেদ উসমানিকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। যিনি আগে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন। সেই সময় আবার ছাত্র সংসদের কার্যালয় থেকে জিন্নাহের ছবি পাওয়া গিয়েছিল বলে একাধিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে গিরিরাজ বলেন, ‘কংগ্রেসে জিন্নাহের এক সমর্থককে টিকিট দিয়েছে। যিনি ভারতকে দু'ভাগে ভাগ করেছিলেন। এখন মহাজোটের নেতাদের দেশবাসীকে উত্তর দিতে হবে যে তাঁরাও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতার ভাবাদর্শকে সমর্থন করেন কিনা।’
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, যাঁরা রাজ্য শাসনের ‘স্বপ্ন’ দেখছেন, তাঁদের মুখ খুলতে হবে। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, লালুপ্রসাদ যাদবের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় বিহারে জঙ্গি সংগঠন সিমির সদর দফতর হয়ে উঠেছিল।
সেখানেই অবশ্য থামেননি গিরিরাজ। তিনি দাবি করেন, ‘রাজনীতির স্বার্থে মহাজোটের নেতারা যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারেন।’ তাই বিহারবাসীর কাছে মহাজোটের দলগুলির দ্বারা ‘ভুলপথে চালিত না হওয়ার’ আবেদন জানান গিরিরাজ।
যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। বরং পালটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, 'নজর ঘোরাতে ঘৃণার কারখানায় বিতর্ক তৈরি করছে বিজেপি। জালেতে আমাদের প্রার্থী কখনওই জিন্নাহের ভাবাদর্শের প্রতি সহমত পোষণ করেননি। উনি যখন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়, সংসদ এবং বোম্বে হাইকোর্ট থেকে জিন্নাহের ছবি সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে (চিঠি) লিখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এখনও জবাব দেননি।'
বছরদুয়েক আগে ক্যাম্পাসে জিন্নাহের ছবিকে ঘিরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের প্রতিষ্ঠাতা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন জিন্নাহ। তাঁকে ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘ঐতিহ্য মেনে ছাত্র সংসদের দেওয়ালে সব আজীবন সদস্যদের ছবি থাকে।’