লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়লেও তামিলনাড়ুতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি ও এআইএডিএমকে। এই আবহে সেই রাজ্যের আসন্ন পুরভোটের জন্য আসন বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ দুই দল। আর তাই এবার পুরভোটের জন্য ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করল বিজেপি ও এআইএডিএমকে। এআইএডিএমকের হাত ছাড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই। উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেরাজ্যের পুরভোট।
তবে পুরভোটের জন্য নিজেরা আলাদা পথ বেছে নিলেও দুই দলের ‘সম্পর্ক’ ভালো রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। দুই পক্ষই দাবি করেছে, শুধুমাত্র নিজেদের দলের স্বার্থের কথা ভেবে ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পুরভোটের জন্য। জানা গিয়েছে, এআইএডিএমকে প্রস্তাব দিয়েছিল যে বিজেপি মোট আসনের দশ শতাংশে লড়াই করুক। তবে বিজেপি তার থেকে বেশি আসনে লড়তে চেয়েছিল। তাই দুই দলের জোট হয়নি বলে জানান বিজেপি সভাপতি আন্নামালাই।
তবে আন্নামালাই জানিয়েছেন যে এনডিএ ‘অক্ষত’ রয়েছে তামিলনাড়ুতে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দুই দল জোট বেঁধেই লড়বে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে পুরভোটে বিজেপি তামিলনাড়ুতে নিজেদের দলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে বলে জানান আন্নামালাই। তাঁর কথায়, ‘তামিলনাড়ুর ঘরে ঘরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন ও পদ্ম চিহ্ন পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। আমরা যদি পরবর্তী স্তরে যেতে চাই, তাহলে দলের বৃদ্ধির জন্য আমাদের স্থানীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।’
এদিকে পুরভোটের পরে বিজেপির সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খোলা রেখে এআইএডিএমকে মুখপাত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ডি জয়কুমার বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচন ও পুরভোট আলাদা। আমাদের কর্মীরা বেশি আসনে লড়তে চাইছেন। এদিকে বিজেপিও বেশি সংখ্যক আসন চাইছিল। তাদের দাবি মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি বলেই আমরা একা লড়ছি। তবে ভোটের পরে অনেক কিছুই হতে পারে।’