কেন্দ্রের প্রস্তাবিত উড়ান প্রকল্পের আওতায় দেশে আরও ১০০টি বিমানবন্দর গড়ায় উদ্যোগী হতে চলেছে সরকার। শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় এই ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
ঘরোয়া বিমান পরিবহণে জোর দিতে এবং এযাবত্ বিমান পরিষেবা থেকে বঞ্চিত স্থানগুলিকে তার আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই প্রতিশ্রুতির সূত্র ধরেই এ দিন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা হল বাজেটে।
Budget 2020- কর সংক্রান্ত অর্থমন্ত্রীর আট বড় ঘোষণা
শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসতে চলেছে ১২০০ বিমান। তাদের চলাচলের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গঠনের উদ্দেশে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য গত বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষমা করেছিলেন, ভবিষ্যতে ভারত এয়ার লিজিং হাব হিসেবে গড়ে উঠতে চলেছে। এ দিনের ঘোষণা তাঁর পূর্বাভাসকেই প্রতিফলিত করেছে।
Budget 2020: বাজেটে পড়ুয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্তি কী, দেখে নিন
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে দেশের এক অগ্রণী বেসরকারি উড়ান সংস্থা আর্থিক কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও সেই শূন্যস্থান দ্রুত ভরাট হয়ে গিয়েছে। ২০১৩ সালের তুলনায় ভারতে বিমানযাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ।মসৃণ বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখতে হলে তাই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আরও ১০০টি বিমানবন্দর প্রয়োজন।
জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের সংখ্যা বাড়াতে ৪৬টি পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপ সচল করার পাশাপাশি ১৬টি বেসরকারি গ্রিন এয়ারফিল্ড, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নিজস্ব ১৫টি বিমানবন্দর, ৩১টি হেলিপোর্ট এবং ১২টি ওয়াটারড্রোম তৈরি করা হবে।