ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগে ২০২২ সালে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পথ সুগম হল নভজ্যোত সিং সিধুর। এহেন সিধুকে 'দেশ বিরোধী', 'অযোগ্য' বলে তোপ দাগলেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া অমরিন্দর। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের উপর 'ক্ষোভ' না থাকলেও অমরিন্দর যে বিরক্ত এবং অপমানিত, তা তিনি পদত্যাগ করার পরই বলেছেন। পাশাপাশি তিনি আরও একটি জিনিস স্পষ্ট করে দিলেন, ২০২২ সালে সিধুকে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করলে তা তিনি মেনে নেবেন না।
অমরিন্দরের কথায়, 'আমি কখনওই সিধুকে ক্ষমতায় আসতে দেব না। তিনি দেশবিরোধী। আমি তাঁকে অনুমতি দেব না। তিনি পাকিস্তানের সাথে খুব বেশি মিশে গিয়েছেন।' অমরিন্দর মনে করিয়ে দেন কীভাবে সিধু পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশংসা করেছিলেন বা পাক সেনা প্রধানকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। অমরিন্দর বলেন, 'সিধুর কাছে জনগণের সমর্থন নেই। বিধায়কদের আছে। কারণ বিধায়করা দিল্লির কথায় চলে। আজ বিধায়করা যদি মনে করত যে দিল্লি আমাকে চায়, তাহলে তাঁরা আমার বাড়িতে বসে থাকতেন।'
সিধু সম্পর্কে অমরিন্দর আরও বলেন, 'সিধু একজন অযোগ্য মানুষ। তিনি যখন মন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি সাত মাসের জন্য কখনও নিজের দফতরের ফাইল চেয়ে দেখেননি। আমি তাঁকে তিন বছর বয়স থেকে চিনি। লোকটি দেশ ও রাজ্যের জন্য সম্পূর্ণ বিপর্যয়।' এরপর তিনি আরও বলেন, 'পাকিস্তানের সঙ্গে পঞ্জাবের সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আসছে। কেন? নিয়্চয় বড় কিছুর পরিকল্পনা চলছে। আমি খুবই উদ্বেগে রয়েছি।'
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। মনে করা হয়েছিল তাঁকে পঞ্জাবের উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে। তবে সেই পদ পাননি সিধু। যদিও তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়। কিন্তু এটা নিয়ে সিধু ও তাঁর অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আর সেটাই ক্রমশ বড় আকার ধারণ করে যখন ২০১৯ সালে সিধু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সিধু নাম না করে তোপ দাগেন ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে। এবার মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারিয়ে সিধুকে তোপ দাগতে শুরু করলেন ক্যাপ্টেন।