সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া সাংসদ–বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা যেন না তোলা হয়। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এই নির্দেশও যাতে সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারপতি বদল না করা হয়।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামন, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে সাংসদ–বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ‘প্রাক্তন সাংসদ সহ ৫১ জন সাংসদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে। কোনও কোনও মামলা ৮ থেকে ১০ বছরের পুরনো। ১২১টি সিবিআইয়ের মামলা রয়েছে। ৩৭টি মামলার তদন্ত চলছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের মামলা সবচেয়ে পুরনো।’ এদিন নাম না করে সিবিআই ও ইডিকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি জানান, ‘আমরা এজেন্সিগুলিকে হতাশ করতে চাই না। আমরা জানি, তাঁদের কাঁধেও বিচারপতিদের মতোই প্রবল কাজের চাপ আছে। তাই আমরা ধৈর্য ধরছি।’ একইসঙ্গে বিচারপতি জানান, ‘অনেক মামলাতেই শুধু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। চার্জশিট পেশ না করে শুধু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কোনও অর্থ নেই।’
এই প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ‘ইডির কোনও কোনও মামলায় বিদেশ থেকে তথ্য পাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে দেরি হয়। তবে বিচারপতিরা মামলার একটি সময়সীমা ধার্য করে দিতে পারেন।’ এরপরই আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলে শীর্ষ আদালত।