তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পরেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা বাড়িয়েছিল মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে না বসে দিল্লির দিকে তাকিয়ে ছিল কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান। আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকের সময়ই এই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোজী। যদিও সেই সময় ভারত বা আমন্ত্রিত দেশগুলির তরফে সরকারি ভাবে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে কোভিড আবহে এই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসতে পারবেন না দিল্লিতে।
এদিকে কাজাখস্তানে গত কয়েকদিন ধরে সহিংস বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে যাতে অন্তত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই আবহে এরও প্রভাব পড়েছে দিল্লি সফরের উপর। উল্লেখ্য, মধ্য এশীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারত নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পালন করছে। উল্লেখ্য, এর আগে করোনার জেরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও দিল্লি সফর বাতিল করেছিলেন।
এদিকে ২৭ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সামিট হওয়ার কথা রয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই সামিটের আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভার্চুয়াল সামিটে কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টরা অংশ নেবেন। মধ্য এশিয়ার দেশগুলির শীর্ষ পদাধিকারির সঙ্গে ভারতের এই ধরণের বৈঠক এই প্রথম হবে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবরকম চেষ্টা চলছে দিল্লির তরফে। এর ফলে ভারত আঞ্চলিক ভাবে আরও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে।