দেশে করোনা প্রথম থাবা বসিয়েছিল ২০২০ সালে। তারও প্রায় এক বছর পর করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয় ভারতে। ২০২১ সালের ১৬ জনুয়ারি দেশে শুরু হয়েছিল করোনা টিকাকরণ। রবিবার টিকাকরণ কর্মসূচি এক বছরে পা দিল। টিকাকরণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করল কেন্দ্র সরকার। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে একেবারে প্রথম সারির যোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়েছে এই ডাক টিকিটের মাধ্যমে। ডাক টিকিটে যে ছবি দেওয়া রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে একজন স্বাস্থ্যকর্মী একজন নাগরিককে টিকা দিচ্ছেন।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া এই ডাকটিকিট উদ্বোধন করেন। এ প্রসঙ্গে প্রথম সারির যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে যেভাবে কোভিড অতিমারী থেকে মানুষকে রক্ষা করছেন, তাদের সেই কাজকে উল্লেখ করা হয়েছে ডাক টিকিটে।'
প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচি। কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেড়শো কোটির বেশি টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এখনও পর্যন্ত ১৫৬ কোটির বেশি টিকা দিয়েছি। যা বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। টিকাদান কর্মসূচিতে বিশ্বের দরবারে ভারত নিঃসন্দেএকটি রোল মডেল।'
তিনি আরও বলেন, 'টিকাকরণ দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা তা অতিক্রম করে টিকাকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পেরেছি।' দেশে ১০০ টিকাকরণ নিশ্চিত করায় লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, কোভিড ভ্যাক্সিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোভ্যাক্সিন। যেটি ভারতেরই তৈরি। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসা গবেষণায় নিয়ে দেশের প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী। দেশে কোভ্যাক্সিনের বিকাশ ভারতের বৈজ্ঞানিক ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর বলরাম ভার্গব।