দেশে মোট ৩৬ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে টিকা। এর মধ্যে মাত্র ১,৫৮৭টি হল প্রাইভেট সেক্টরের। এই আবহে সরকারি এবং বেসরকারি খাতে টিকাকরণের মধ্যে এক বিস্তর ফারাক দেখা দিয়েছে। এই প্রাইভেট টিকা কেন্দ্রগুলির মধ্যেও যেগুলি বড় হাসপাতাল, তারা উপলব্ধ ২৫ শতাংশ টিকার সিংহভাগ কিনে নিচ্ছে। তবে তারা সেই টিকা ব্যবহার করছে না বা করতে পারছে না। এই আবহে এবার রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র পরামর্শ দিল যাতে প্রাইভেট সেন্টারগুলির থেকে মাসিক চাহিদা জেনে নিয়ে রাজ্য সরকার তাদের টিকা সংগ্রহ করে দেয়। তা না হলে কেন্দ্র নিজেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছে।
এদিকে গত কয়েকমাস ধরেই টিকার আকাল নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এই আবহে কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে টিকা নীতি বদলের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে জানা যায় মে মাসে বেসরকারি হাসপাতালগুলির হাতে ১.২৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন থাকলেও। তার মধ্যে মাত্র ২২ লক্ষ ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মে মাসের জন্য ৭.৪ কোটি ডোজের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য বরাদ্দ ছিল ১.৮৫ কোটি ডোজ। তার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলি নিয়েছিল ১ কোটি ২৯ লক্ষ ডোজ। কিন্তু ভ্যাকসিন ব্যবহার হয়েছে অর্ধেকেরও অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের মত, সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকার দাম অনেকটাই বেশি। যে কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকা নিতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম।