সুপ্রিম কোর্টে চলা এই মামলায় জানা গিয়েছে দেশের নিম্নস্তরের কোর্টগুলিতে ৪২ মিলিয়ন মামলা পড়ে রেয়েছে যার নিষ্পত্তির প্রয়োজন। মামলায় সলিসিটার জেনারেল কে এম নটরাজন জানিয়েছেন, বিচারবিভাগীয় কাজের বাইরের কাজ করতে হচ্ছে অফিসারদের, কারণ দেশে বাড়ছে কেসের সংখ্যা।
দেশের একটা বড় অংশের বিচারবিভাগীয় অফিসাররা বিচারবিভাগীয় কাজের বাইরের কাজ করছেন। এমন বার্তা দিয়ে কেন্দ্রের পরামর্শ একটা বড় সংখ্যায় কোর্টগুলিতে কোর্ট ম্যানেজার ক্যাডার নিয়োগ করা যেতে পারে। যাঁদের ব্যবস্থাপনার পরিষেবার দ্বারা সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জেলা আদালত, ট্রাইবুনালগুলিতে বিচারের ব্যবস্থাপনা আরও সহজতর হতে পারে বলে মত কেন্দ্রের।
দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বহবু আইনি মামলার সংখ্য়া। আর তাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে প্রয়োজন কর্মশক্তির যোগানের। সেই সংক্রান্ত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার সাপেক্ষে কেন্দ্র একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। সুপ্রিম কোর্টে চলা এই মামলায় জানা গিয়েছে দেশের নিম্নস্তরের কোর্টগুলিতে ৪২ মিলিয়ন মামলা পড়ে রেয়েছে যার নিষ্পত্তির প্রয়োজন। মামলায় সলিসিটার জেনারেল কে এম নটরাজন জানিয়েছেন, বিচারবিভাগীয় কাজের বাইরের কাজ করতে হচ্ছে অফিসারদের, কারণ দেশে বাড়ছে কেসের সংখ্যা। তিনি বলেন, দেশে ১৭০২০ জন জুডিশিয়াল অফিসারদের মধ্যে (২১ টি হাইকোর্টের ১৮ টি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী) ১৫,৩৯১ জন অফিসার শুধু জুডিশিয়াল অফিসার হিসাবে কাজ করছেন। ১৮৬৯ জন অফিসাররা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অ্যানিমিয়ার ভুগছেন? হিমোগ্লোবিন হু হু করে বাড়িয়ে দেবে এই খাবারগুলি
আদালতকে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের তৈরি করা বিচারবিভাগীয় সংক্রান্ত কমিটিতে বহু জুডিশিয়ার অফিসাররা রয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে অফিসারদের কাজ সম্পর্কে। বলা হয়েছে, ই কোর্ট, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, জুডিশিয়ার অ্যাকাডেমি সমেত একাধিক কাজের কথা সেখানে অফিসারদের জন্য বলা হয়েছে। ফলে কোর্টের কার্যাবলী ও ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রের তরফে পরামর্শ কোর্ট ম্যানেজারদের নিয়োগ নিয়ে। আর এই ম্যানেজাররা যাতে রেজিস্টারারের অধীনে থেকে কাজ করেন তারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।