রাজ্যরা যাই বলুক কেন্দ্র বলে দিয়েছে যে জিএসটি ক্ষতিপূরণের যে দুটি বিকল্প দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে থেকেই বেছে নিতে হবে। ফলে নিমরাজি ভাবে প্রথম বিকল্পটি বেছে নিচ্ছে অনেক রাজ্য।
২৭ অগস্ট জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে দুটি বিকল্প দেয় কেন্দ্র, যা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। একটি হল রাজ্যগুলি আরবিআইয়ের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে ৯৭ হাজার কোটি টাকা ধার করুক, যাতে সুদের ওপর ০.৫ শতাংশ ছাড় মিলবে।
দ্বিতীয় হল সম্পূর্ণ অদেয় টাকা ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ( জিএসটি ক্ষতিপূরণ ও করোনার মহামারীর জেরে যে টাকা কম পড়বে) আরবিআইয়ের থেকে ধার করা। সেখানে অবশ্য কোনও ছাড়ের কথা বলা হয়নি।
প্রথম বিকল্পে, সুদ ও আসল দুটিই কেন্দ্র জিএসটি সেস থেকে মিটিয়ে দেবে। দ্বিতীয়টিতে শুধু আসলটি দেওয়া হবে। জিএসটি আইন অনুযায়ী, জিএসটি চালু করায় রাজ্যগুলির যে লোকসান হচ্ছে, সেটা মিটিয়ে দেওয়া কথা কেন্দ্রের।
এবার কেন্দ্র রাজ্যদের বলছে যে আপনারা ধার করুন, আমরা পরে মিটিয়ে দেব। কিন্তু সেটাও যেটা জিএসটি খাতে যে ক্ষতিপূরণ, সেটার জন্য। মহামারী খাতে যে রাজস্ব কম সংগ্রহ হবে, সেটা অ্যাক্ট অফ গড বলে এর আওতায় পড়ে না বলে দাবি কেন্দ্রের। এর বিরোধিতা করেছে বাংলা সহ পাঁচ রাজ্য।
কিন্তু বিরোধিতা করা কেরালা ইতিমধ্যেই বলেছে যে অন্য কোনও উপায় যখন নেই তখন প্রথম বিকল্পটি বেছে নেওয়ার কথা ভাবছে তারা। আরেক রাজ্য সরকার যারা এর বিরোধিতা করেছিল, সেই মহারাষ্ট্রও বলছে প্রথম বিকল্পটি নেবে তারা। এক কর্তা বলেন যে উপায়ই বা কি আছে। এই রাজস্ব ছাড়া তো কর্মীদের মাইনে দিত পারব না।
বিরোধিতা করেছে আরেক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান। মোদীকে এই নিয়ে চিঠিও লিখেছেন অশোক গেহলট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যদের হাতে এখন তেমন কোনও উপায় নেই দুটির মধ্য়ে একটি বিকল্প বেছে নেওয়া ছাড়া। তাই সবাই প্রায় প্রথম বিকল্পটি বেছে নিচ্ছে।
প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার উপায় নেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য ইতিমধ্যেই ঠিক করে নিয়েছে যে তারা ধার নিয়ে কাজ চালাবে ও খুব সম্ভবত প্রথম বিকল্পটিই বেছে নেবে তারা।