ঝাড়খণ্ড অস্ত্র চুরির ষড়যন্ত্র মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। জানা গিয়েছে, এই মামলায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান সিপিআই (মাওবাদী) ক্যাাডারদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) হেড কনস্টেবল কার্তিক বেহেরা, অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী অরুণ কুমার সিং ওরফে ফৌজি, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অবিনাশ কুমার সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে রাঁচির একটি এনআইএ বিশেষ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। চার্জশিটে জওয়ানদের পাশাপাশি নাম রয়েছে গ্যাংস্টার অমন সাহুরও। সাহু রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়লা পরিবহণ করত এবং এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য অস্ত্র ব্যবহার করত। পাশাপাশি মাওবাদীদের AK-47 সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিহার, পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে ধারাবাহিক অভিযানের পর ঝাড়খণ্ডের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড মূলত গত বছরের নভেম্বরে এই র্যাকেটটি বের করেছিল। অভিযানে পঞ্জাবের ফিরোজপুরে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ১১৬তম ব্যাটালিয়ন থেকে ৮৩০৪ রাউন্ড গোলাবারুদ, খালি শেল, ডেটোনেটর এবং ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছিল। বিহারে একটি গ্যাং সদস্যের কাছ থেকে ৯০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় এবং মহারাষ্ট্র থেকে ১৪টি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল এবং ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'এভাবে উপত্যকায় ফিরবেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা?' ছেলের খুনের পর সরকারকে তোপ, ফুঁসছেন মৃত রাহুলের বাবা
এনআইএ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে কার্তিক বেহেরা বিভিন্ন ক্যালিবারের গোলাবারুদ চুরি করেছিল এবং অরুণ কুমার সিংকে সরবরাহ করেছিল। এই অরুণ পরে সেই অস্ত্রগুলি সিপিআই (মাওবাদী) ক্যাডার এবং অমন সাহুর সন্ত্রাসী গ্যাং-কে সরবরাহ করত। এদিকে গ্রেফতারির পরই কার্তিক বেহেরাকে বিএসএফ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।