সুতীর্থ পত্রনবীশ
মিসাইল প্রতিরোধের ক্ষেত্রে শক্তি যাচাইয়ে সফল হল চিন। রবিবার এমনটাই দাবি করা হয়েছে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের মতবিরোধ রয়েছে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে ঘিরেও চিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও। তার মধ্যে মিসাইল আটকানোর পরীক্ষা করে শক্তি যাচাই করল চিন।
তবে এই অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধক ঠিক কোথায় পরীক্ষা করা হয়েছে, এই ধরনের ব্যবস্থার প্রকৃতি ঠিক কী রকম তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর সাধারণত যুদ্ধের সময় কোনও দেশের উপর মিসাইল হানা হলে এই অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল কার্যত ছাতার মতো কাজ করে।
চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, ভূমি থেকে ভূমি এই অ্যান্টি মিসাইল ইন্টারসেপ্ট টেকনোলজি দেশের সীমারেখার মধ্যেই পরীক্ষা করা হয়েছে। একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
এর সঙ্গেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এই পরীক্ষা রাতে করা হয়েছে। এই পরীক্ষা তার প্রত্যাশিত লক্ষ্য়ে পৌঁছতে পেরেছে। পাশাপাশি মন্ত্রক জানিয়েছে এই পরীক্ষা একেবারেই আত্মরক্ষামূলক। কোনও দেশকে আক্রমণ করার লক্ষ্যে এটি নয়।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিন এই একই ধরনের মিসাইলের ব্যবহার করেছিল। তবে মিডিয়া রিপোর্ট ও বিবৃতি অনুসারে এর আগে ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৮, ২০২১ সালে চিন এই ধরনের এবিএম টেস্ট করেছিল। সরকার পরিচালিত ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।