২০২০ সালের জুন মাস। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গালওয়ান উপত্যকা। তারপর কেমন আছে সীমান্ত? চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং জানিয়েছেন সবমিলিয়ে স্থিতাবস্থা রয়েছে সীমান্তে। আপৎকালীন পরিস্থিতি থেকে দুই দেশই বেরিয়ে এসেছে।
পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার ৭৫ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন। তাঁর মতে যে ইস্যুগুলি এখনই মেটানো যাচ্ছে না সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা দরকার। এক্ষেত্রে সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কখনওই নষ্ট করা ঠিক হবে না।
তবে এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনই ভারতের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।বুধবারই চিনের তরফে ওই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে ভারত এই অবস্থান নিয়েছে যে সার্বিকভাবে সম্পর্ক কখনই স্বাভাবিক হতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সীমান্তে শান্তি ও স্থিরতা বজায় থাকবে। তবে চিনের তরফে অন্তত এক্ষেত্রে কিছুটা অন্য কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর অবশ্য জানিয়েছিলেন, ভারত ও চিনের সম্পর্ক একেবারে জটিল পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে। সীমান্তে বেজিংয়ের কাজকর্মের জন্য়ই এটা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
এদিকে সান অবশ্য় বলছেন, ভারত ও চিনের সম্পর্ক নতুন করে উন্নতিলাভ করেছে। এবছর একটি ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। চিনের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এমন ইস্যুগুলিকে যথাযথভাবে হ্যান্ডেল করার ব্যাপারেও তিনি মতামত দেন। সেক্ষেত্রে তিনি আবার সেই তাইওয়ান ইস্যু, তিব্বত সংক্রান্ত প্রসঙ্গগুলি তোলেন।
তাঁর মতে, বর্তমানে সীমান্তে অবস্থা স্থিতিশীল। গালওয়ানের পরে যে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেকটাই স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি এখন সীমান্তে।
তাঁর মতে, আমরা আশা করি ভারত একটি খোলামেলা, স্বচ্ছ পক্ষপাতহীন ব্যবসায়িক আবহাওয়া চিনের উদ্যোগপতিদের জন্য় খুলে দেবে।