২০১৯ সালে কর্ণাটকের এক জনসভায় 'সব মোদী চোর' মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাহুল। এর জেরে সাংসদপদ হারিয়েছেন তিনি। এই আবহে জেলযাত্রা থেকে বাঁচতে আগামী সোমবারই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটের দায়রা আদালতে দ্বারস্থ হতে পারেন রাহুল গান্ধী। প্রসঙ্গত, এর আগে রাহুল গান্ধীকে দু'বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। যদিও, উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয় রাহুলকে। এই একমাসের জন্য আদালতের কারামুক্ত থাকতে পারবেন রাহুল। এই পরিস্থিতিতে দায়রা আদালতে সাজা মকুবের আবেদন জানাতে চলেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। এদিকে এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরাসরি হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না, কারণ এটা ফৌজদারী মামলা ছিল। তাই দায়রা আদালতেই দ্বারস্থ হবেন রাহুল গান্ধী। (আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া আরও সহজ হল, বড় নিয়ম বদল করল রাজ্য সরকার)
এদিকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সংসদপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর। এই আবহে কংগ্রেস আইনি এবং রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার কথা বলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল গান্ধীর পক্ষে কি আর তাঁর সাংসদপদ ফিরে পাওয়া সম্ভব? এই জটিলতা থেকে নিজেকে বের করে আনতে কী করতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি? আগামী নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন তো তিনি? লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হচ্ছে, রাহুল গান্ধী যদি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁর সাংসদপদ ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে উচ্চ আদালতে যদি শুধুমাত্র কারাদণ্ডের ওপর স্তগিতাদেশ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী সাংসদপদ ফেরানো হবে না বলেই জানা যাচ্ছে লোকসভা সচিবালয় তরফে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সমান ডিএ এই রাজ্যে, 'এগিয়ে বাংলা...', শুভেচ্ছা বার্তা শুভেন্দুর
এদিকে এদিকে রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ায় কেরলের ওয়ানাড আসনটি ফাঁকা হয়ে গেল। নিয়ম অনুযায়ী, এখনও যেহেতু লোকসভা নির্বাচনের একবছের বেশি সময় বাকি, তাই এই আসনে উপনির্বাচন করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই আসনটিতে উপনির্বাচন করাতে হবে। তবে যেহেতু রাহুল গান্ধীর কাছে আইনি উপায়ে স্বস্তি পাওয়ার জন্য ৩০ দিন সময় আছে, তাই নির্বাচন কমিশন তাড়াতাড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না বলেই মত বিশেজ্ঞ মহলের। এই বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, কেরলের ওয়ানাড লোকসভা আসনে উপনির্বাচন করার এখনই তাড়াহুড়ো নেই। তিনি রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্টের ১৫১ নং ধারার উল্লেখ করে জানান, এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানোর জন্য এখনও তাঁদের কাছে ৬ মাস সময় রয়েছে।