এই বাড়িতে রয়েছে রাজনীতির নানা সাক্ষ্য। এই বাড়িতে বসেই নানা রাজনৈতিক কৌশল নেওয়া হয়েছিল। সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল এখানে নিয়মিত আসতেন। এই বাড়িতেই সচিন পাইলটের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যখন দল ছাড়তে চেয়েছিলেন পাইলট। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে কংগ্রেসের নতুন সাংসদদের সঙ্গে এই বাড়িতেই দেখা করেন সোনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধী বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে এই বাড়িতেই বৈঠক করেছেন। এবার এই ওয়ার রুম হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের বলে খবর।
এদিকে এই বাড়ির ঠিকানা, ১৫ গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোড। এটা জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুম’ বলেই পরিচিত। দশকের পর দশক ধরে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের রণকৌশল এখানে বসেই ঠিক হতো। আজ এই ঠিকানা হাতছাড়া হতে চলেছে। গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডের সরকারি বাংলো এতদিন কংগ্রেসের কোনও সাংসদের নামে বরাদ্দ থাকত। এই বাংলোয় ‘ওয়ার রুম’ চলত। এবার সেটা বিজেপির সমর্থনে হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভায় জিতে আসা নির্দল সাংসদ কার্তিকেয় শর্মার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। সুতরাং কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুম’ বন্ধ হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজেপি এই সরকারি বাংলো থেকে কংগ্রেসকে ঠিকানাচ্যুত করতে চাইছিল। তার জন্য সুযোগ খুঁজছিল। এবার তাতে সাফল্য মিলল। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা মণীশ চতরথ বলেন, ‘যে সাংসদের নামে বাংলোটি বরাদ্দ ছিল, তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই বাংলো ছেড়ে দিতে হবে।’ ইউপিএ জমানার শুরুতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত এক সাংসদের নামে বাংলোটি বরাদ্দ ছিল। পরে বাংলো বরাদ্দ হয় রাজ্যসভায় মনোনীত অভিনেত্রী রেখার নামে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও বাংলোটি পেয়েছিলেন। সুতরাং এখন ওয়ার রুম আর কংগ্রেসের থাকছে না।
আরও পড়ুন: আবার কি মুখ্যমন্ত্রী–রাজ্যপাল মুখোমুখি দেখা হতে চলেছে? নয়াদিল্লিতে একই বাড়িতে দু’জন
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ওয়ার রুম ছিল রাজধানীর নির্জন এলাকায়। তাই গোপন বৈঠক করা হতো। অনেক উত্থান–পতনের সাক্ষী এই বাংলো। এই ওয়ার রুমে দুটি অত্যাধুনিক কনফারেন্স রুম, একাধিক অস্থায়ী কেবিন, তথ্য–পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের পরিকাঠামো আছে। এই ওয়ার রুম হাতছাড়া হওয়ার বিষয় নিয়ে কংগ্রেস নেতা মণীশ চতরথ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আপাতত ওয়ার রুম ছাড়তে হবে। তারপর নয়াদিল্লির কোটলা মার্গে কংগ্রেসের নতুন সদর দফতর হবে। সেখান থেকেই ওয়ার রুমের কাজ চলবে।’