ব্যাঙ্কগুলি তিন মাসের জন্য লোনের ওপর মোরাটেরিয়াম দিতে পারে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান শক্তিকান্ত দাস।এর পর এসবিআই চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার জানিয়েছেন যে এই সুবিধা তারা সাধারণ মানুষের জন্য প্রদান করবেন। অর্থাত্ করোনার জেরে বেহাল আম আদমিকে আগামী তিন মাস কোনও ইএমআই দিতে হবে না, যদি তারা এসবিআই থেকে লোন নিয়েছেন। অন্য ব্যাঙ্কগুলিও দ্রুত এই সুবিধার কথা জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বেসরকারি চ্যানেলে এসবিআই চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেন যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্যের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না, কারণ কিছুদিন বাদে ফের সেই টাকা তারা পেয়ে যাবেন। সমস্ত বৈধ ঋণগ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন। সমস্ত টার্ম লোনের জন্যেই তিন মাস ইএমআই দিতে হবে না। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণ ও গৃহঋণ অন্তর্ভুক্ত বলে জানান এসবিআই চেয়ারম্যান।
তবে ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত বৈধ কিনা, সেই বিষয় নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি রজনীশ কুমার। খুব দ্রুত এসবিআই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে সংশয় থাকলেও, পরে আরবিআই জানায় সমস্ত রিটেল লোনের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।এটি কোনও ভাবেই লোন নেওয়া ব্যক্তির ক্রেডিট ইতিহাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলেও আরবিআই আস্বস্ত করেছে।
সমস্ত বাণিজ্যক ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের মধ্যে রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্ক, স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক ও লোকাল এরিয়া ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি (হাউজিং ফিনান্স কোম্পানি ও মাইক্রো ফিনান্স ইন্সটিটিউশন)-কেও তিন মাস ইএমআই না নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সর্বভারতীয় ফাইনান্স কোম্পানিগুলিকেও এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ব্যবসায়ীদের জন্যও স্বস্তির খবর দিয়েছে আরবিআই। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ফেসিলিটি যেখানে ক্যাশ ক্রেডিট বা ওভারড্রাফ্ট হিসাবে নেওয়া হয়েছে, সেখানে তিন মাসের জন্য সুদ নেওয়া স্থগিত করতে পারে লেনডিং সংস্থাগুলি। এই মেয়াদকালের পর পুঞ্জীভূত সুদ তারা নিতে পারেন। তবে এই তিন মাসের সুদ না দেওয়ার জন্য অ্যাসেট ক্লাসিফিকেশন ডাউনগ্রেড করা যাবে না।
এছাড়াও অতিরিক্ত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ব্যবসা চালানোর জন্য লাগলে, সম্পর্কিত শর্তাদি শিথিল করা যেতে পারে বলে আরবিআই জানিয়েছে। তবে কেউ অতিরিক্তি অর্থ নিলেও তার জন্য অ্যাসেট ক্লাসিফিকেশন ডাউনগ্রেড করা যাবে না কারণ এটি করোনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া।