চারিদিকে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও আধাসেনা। ঘিরে রাখা হয়েছে অধিকাংশ এলাকা। চাপা আতঙ্ক রয়েছে দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন পশ্চিমের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। সবারই একটা ভয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি তো?
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: ধর্মীয় জমায়েতের পর অনেকের করোনা উপসর্গ, ঘেরা হল দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকা
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত নিজামুদ্দিনে একটি মুসলিম ধর্মীয় সংগঠন তাবলিগি জামাতের জমায়েত ছিল। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার নাগরিক-সহ ২০০০-রও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ভারতের তেলাঙ্গানা, তামিলনাড়ু থেকেও অনেকে জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। সেজন্য নিজামুদ্দিন এলাকার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনা সংকটের জেরে কৃষিঋণ শোধের সময়সীমা পিছোল সরকার
লোক নায়েক হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট জে সি প্যাসে বলেন, 'রবিবার প্রায় ৮৫ জনকে লোক নায়েক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সোমবার আরও ৬৮ জনকে নিয়ে আনা হয়েছে। ফলে মোট ১৫৩ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি রয়েছেন। তাঁরাও সংক্রামিত কিনা, তা দেখার জন্য পরীক্ষা করা হবে।'
আরও পড়ুন : করোনা সংকট মোকাবিলায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কুসংস্কার ও গুজব, দাবি নমোর
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে যে ধর্মগুরু জমায়েতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় সংগঠনটিকে ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : নিমপাতা থেকে ড্রোন-করোনা রোধে হরেক পন্থা অবলম্বন
এদিকে, দিল্লি পুলিশ, সিআরপিএফ ও মেডিক্যাল দল পুরো এলাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালাচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। সেজন্য বাস তৈরি রাখা হয়েছে। ড্রোন দিয়েও পুরো এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। : :