করোনাভাইরাসের প্রকোপে কার্যত মৃত্যুমিছিল চলছে। সারা বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩২,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখের কাছে। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হওয়ার পথে বলে খবর মিলেছে। এছাড়াও করোনা সংক্রান্ত সারাদিনের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ খবর দেখে নিন একনজরে -
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,০২৪। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৫ জন। মৃত্যু হয়েছেন ২৭ জনের। একজন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এদিকে, মহারাষ্ট্র ও কেরালায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র গণ্ডি টপকে গিয়েছে।
রবিবার 'মন কি বাত'-এ করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেন, 'এরকম কঠোর (লকডাউন) পদক্ষেপের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। যা আপনাদের জীবনে জটিলতা তৈরি করেছে। বিশেষত গরীবদের। আমি জানি, আপনাদের কেউ কেউ আমার উপর অত্যন্ত রেগে আছেন। কিন্তু এই (করোনার বিরুদ্ধে) যুদ্ধ জয়ের জন্য এরকম কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল।'
শহরের কোথাও যাতায়াত করা যাবে না। জাতীয় সড়কেও কোনওরকম যাতায়াত বরদাস্ত করা হবে না। কঠোরভাবে লকডাউন লাগু করতে হবে। শুধু পণ্যবাহী গাড়ি চলবে। কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
ভিটেমুখী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের সরকারি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রাখতে হবে। রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
ভিনারাজ্যের শ্রমিকদের দিল্লি না ছাড়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, 'আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, দিল্লি সরকার আপনাদের খাদ্য ও থাকার জায়গার জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করেছে। দেশের স্বার্থে এখন নিজেদের গ্রামে যাবেন না।'
বাংলায় আরও ১০,০০০ টেস্টিং কিট পাঠিয়েছে কেন্দ্র। টুইটারে জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
পশ্চিমবঙ্গের তিন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠার মুখে। তাঁরা হলেন- আমলা পুত্র, স্কটল্যান্ড ফেরত হাবরার তরুণী ও বালিগঞ্জের আক্রান্ত তরুণের বাবা। তাঁদের প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দ্বিতীয়বার আবার পরীক্ষা হবে। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ এলে তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
সংক্রমণ রুখতে ও দ্রুত করোনাভাইরাস চিহ্নিত করতে এবার র্যাপিড টেস্ট শুরু করল কেরালা। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে কাসারগড় ও পাথানামথিট্টা জেলায় সেই পরীক্ষা হবে।
রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী থমাস শেফারের দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, অর্থনীতিতে যেভাবে করোনার প্রভাব পড়েছিল, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি। সেজন্যই আত্মঘাতী হয়েছেন।
সারা বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ছুঁইছুুঁই। মৃত্যু হয়েছে ৩২,০০০-এর বেশি। সেরে উঠেছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে (১০,০২৩)। স্পেনে মারা গিয়েছেন ৬,৫২৮। আমেরিকায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ২,২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে মার্কিন মুলুকে।