অনেকসময়ে শিশুদের বুদ্ধি হার মানিয়ে দেয় অনেক প্রাপ্তবয়স্কদেরও। তেমনই 'বড়দের মতো' বুদ্ধির পরিচয় দিল ৩ বছরের লিপাভী। সর্দি আসায় একা একাই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে গেল ছোট্ট ছোট্ট পায়ে। খুদে পেশেন্ট একা একাই এসেছেন শুনে রীতিমতো চমকে গেলেন চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে, গোটা ঘটনায় বেশ মজাও পেয়েছেন তাঁরা। আর পাঁচজন রোগীর মতোই লিপাভীকেও ওষুধ দিলেন তাঁরা। ঘটনাটি নাগাল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত গ্রামের।
তবে, তারপরে অবশ্য গ্রামে লিপাভীর মা-বাবার খোঁজও করেন তাঁরা। জানা যায়, নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত্য গ্রামটিতেই বাড়ি তার। মা-বাবা ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছেন। বাড়িতে একা একাই ছিল লিপাভী। হঠাত্ই তার মনে হয়, সর্দি ভাব, কাশি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত্ বলে শুনেছে সে। আর সেই কারণেই যেমন ভাবা তেমন কাজ। একা একাই কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে যায় সে। এর আগে মা-বাবার সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল সে।
আপাতত সুস্থ আছে লিপাভী। তার দায়িত্ববোধের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। মাস্ক পরার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন অনেকে। আবার একা একা ৩ বছরের শিশুর বের হওয়াটা বেশ বিপদজনক বলেও উল্লেখ করেছেন অনেকে। তবে, তার পাল্টা অনেকের দাবি, নাগাল্যান্ডের ওই প্রত্যন্ত্য গ্রামে গাড়ি, ভিড় কম। তাই অনেক ছোট বয়স থেকেই শিশুরা একা একা রাস্তায় খেলাধুলা করে।