সর্বভারতীয় স্তরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের অবস্থান কি হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। আজ তার দ্বিতীয় দিন। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সিপিআইএমের আখেরে ক্ষতি হয়েছে বলেই বেঙ্গল লাইনকে ফের তুলোধনা করা হল। এই তুলোধনা করেছে কেরল–সহ দক্ষিণ শাখা। এই নিয়ে যখন তপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটি তখন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি নীরব দর্শক থাকলেন বলে সূত্রের খবর।
একুশের নির্বাচনে পরও কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকে বেঙ্গল লাইনের মুণ্ডুপাত করা হয়েছিল। তখন অবশ্য সংযুক্ত মোর্চার জোট ছাড়ানোই লক্ষ্য ছিল। বাংলায় জোট করেই ভরাডুবি হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি। তাই সীতারাম ইয়েচুরিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভোট শেষ, জোট শেষ। বেঙ্গল লাইন রাজ্যভিত্তিক আলাদা ভাবনার কথা বললেও তা পাত্তা পায়নি। একুশের নির্বাচনে জোট করেও কোনও লাভ হয়নি, উলটে যে কটা আসন ছিল তাও খোয়া গিয়েছে বলে বিমান বসুদের তুলোধনা করা হয়।
এরপরই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে সিপিআইএমের অবস্থান ঠিক করাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে সিপিআইএম কোন পথে হাঁটবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে বিজেপি বিরোধী জোটে সিপিআইএম যাবে কিনা তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোন রণনীতিতে এগোবে সিপিআইএম এখন সেটাই চর্চার বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কেরলে সিপিআইএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস হবে। জানুয়ারি মাসে শেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসবে। এখন তিনদিনের বৈঠকে পার্টির রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক খসড়া প্রস্তাবের বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। যদিও বিমান বসু বলেছিলেন, সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে বিজেপি বিরোধী ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে যেতে আপত্তি নেই।