এক চিকিৎসককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অন্য এক চিকিৎসককে তলব করল আদালত। দুজনেই দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) চিকিৎসক। দিল্লির একটি আদালত জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে তা মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম দীপক গুপ্ত। তাঁর বিরুদ্ধে হাউজ খাস থানা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৩৭৭ ধারা (অপ্রাকৃতিক অপরাধ), ৩১৩ (মহিলার সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত ঘটানো) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
বাজেটের খবর: আয়কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করলেন না সীতারামন
বিচারক বলেন, ‘আমি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৭৭, ৩১৩ এবং ৫০৬ ধারার অধীনে অপরাধের বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। চিকিৎসককে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারের মাধ্যমে তলব করা হয়েছে। তবে এটি অভিযুক্তের দুই বোন এবং ভাইকে ডেকে পাঠায়নি। আদালত বলেছে, দীপক এবং অভিযোগকারীর মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না। তাছাড়া এই অপরাধে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না। উল্লেখ্য, চিকিৎসকের ২ বোনের নাম হল উমা গুপ্ত এবং বেবি গুপ্ত। অন্যদিকে, তাঁর ভাইয়ের নাম হল মোহন লাল গুপ্ত। আদালত বলেছে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগ নেই।
বাজেট আপডেট: লক্ষ্মীবারে বাজেট পেশ, আম জনতার লক্ষ্মীলাভ হল? আয়কর নিয়ে কী বললেন নির্মলা
এফআইআর অনুযায়ী, এইমসের নিউরোসার্জারির অধ্যাপক দীপক গুপ্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল নির্যাতিতা চিকিৎসকের। ক্রমেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়। তখন দীপক গুপ্ত মহিলা চিকিৎসককে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকবার মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার সহবাসের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তখন দীপক গুপ্ত জোর করে তার গর্ভপাত করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।সেই ঘটনার পরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান মহিলা চিকিৎসক। পরে মামলাটি উঠে দিল্লির ওই আদালতে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।