নির্বাচনী বা ইলেক্টোরাল বন্ডের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়েক করা মামলার শুনানি দীর্ঘদিন ধরেই বিলম্বিত। সেই মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এদিকে রাজনৈতিকদলগুলিকে তথ্যধিকার আইনে আওতায় আনার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিও হবে এই একই সময়ে। (আরও পড়ুন: 'হিন্দি রাষ্ট্রবাদীদের...', সরকারি ওয়েবসাইটে রাজ্যের ভুল বানান দেখে চটলেন শশী)
২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এই আবহে এর আগে এই বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে চায়নি সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দলের তরফ থেকে দাখিল করা খরচ সংক্রান্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্বাচনী বন্ড থেকে কত টাকা আয় হয়েছে। সেই টাকার কতটা খরচ করা হয়েছে। বাকি রয়েছে কত টাকা। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।
গুজরাট, হিমাচলের বিধানসভা ভোটের আগে প্রথা ভেঙে নির্বাচনী বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণত কোনও মাসের পয়লা তারিখ থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত চালু থাকে নির্বাচনী বন্ড বেচাকেনা বা ভাঙানোর ব্যবস্থা। তবে গতবছর বন্ড বিক্রি হয় ৯ নভেম্বর থেকে। বন্ড বিক্রি চলে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ মৌরবিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ওরেভা গোষ্ঠীর প্রধানের
দেশে প্রথমবার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছিল ২০১৮ সালের ১ থেকে ১০ মার্চ। রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া অনুদানে স্বচ্ছতা আনতে এই বন্ড বিক্রি শুরু করা হয়েছিল। নগদ টাকার পরিবর্তে এই বন্ড কিনে দলগুলিকে অনুদান দেওয়া যেতে পারে। বন্ড ইস্যু হওয়ার দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সেটি বৈধ থাকে। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ১ শতাংশ ভোট পাওয়া রাজনৈতিক দলই বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পাওয়ার যোগ্য।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup