শুক্রবার মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যেই মুব্ইতে ২৫৩ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টি হয়। যা দেখে অবাক আবহাওয়াবিদরা। গত দশবছরে জুলাই মাসের নিরিখে মুম্বইতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এছাড়া চলতি মরশুমে এটা সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত মুম্বইতে।
এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদদের দাবি, 'আমরা জানি না ঠিক কী কারণে এত বৃষ্টি হল। বৃহস্পতিবার রাতেও এর কোনও আভাস ব়্যাডারে পাওয়া যায়নি। কোনও বজ্রপাতের পূর্ভাবাস মেলেনি। নিম্নচাপ সৃষ্টি দেখা যায়নি। কোনও আবহাওয়ার মডেলই এই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিতে পারত না।' উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লিতে বর্ষা ঢোকা নিয়ে আইএমডি-র পূর্বাভাস মেলেনি। পূর্বাভাসের ১৬ দিন পর বর্ষা ঢোকে দিল্লিতে।
নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুর উপরে জল। ডুবে যায় রেল লাইনও। এর ফলে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত জনজীবন। সড়কপথে যান চলাচলের গতি মন্থর। কমে লোকাল ট্রেনের গতিও। সিয়ন, বান্দ্রা, আন্ধেরি, সান্তাক্রুজের মতো বিভিন্ন এলাকা চলে যায় জলের তলায়।
সাধারণত বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকলে তবে এই পরিমাণ বৃষ্টি হয় মুম্বইতে। গত দুই দশকে পাঁচবার সান্তাক্রুজ ২৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি দেখেছে একদিনে। তবে প্রতিবারই তা বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবের জেরে। তবে গত ১০০ বরে এরম প্রথমবার হল যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ না থাকা সত্ত্বেও মুম্বই এত বৃষ্টি দেখল।
এদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে মেইন লাইন ও হার্বার লাইনে ট্রেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট করে দেরিতে চলে। রেল পরিষেবার পাশাপাশি বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরীর সড়ক পরিষেবাও। বহু রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলছে না। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেস্ট বাস পরিষেবার কয়েকটি রুট ৷ মানুষজনকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।